সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেগম জিয়ার উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়ার সাথে ফুলবাড়ীতে বিএনপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’ শুটিংয়ে আপত্তিকর আলোচনা, নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা অভিনেত্রীর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত আয়করের ভীতি : সঠিক তথ্য পেতে হিমশিম অর্থনৈতিক শুমারির মাঠকর্মীদের চারঘাটের কৃষি উদ্যোক্তা হানিফ মাল্টা ও বেদেনা চাষে সফল, তৈরি করতে চান এগ্রোপার্ক বাজে ব্যাটিংয়ে ভারতের কাছে ফাইনালে হার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বাকৃবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৬ জানুয়ারি
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন : ০১৭১২-৫২২৫৩৭, ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৫

  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫১ বার পঠিত হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর আবারও উত্তপ্ত  হয়ে উঠেছে।  মণিপুর রাজ্যের জিরিবাম জেলায় বন্দুকযুদ্ধে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্রোহী কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিষ্ণুপুর জেলায় রকেট হামলায় একজন নিহত আর পাঁচজন আহত হয়েছেন।

শনিবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় নিংথেম খুনৌ নামে জিরিবাম সদর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এক স্থানে। এদিন ভোরে সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় ওয়াই কুলাচন্দ্র নামে ৬৩ বছরের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানান ওই ব্যক্তির স্ত্রী ওয়াই বেমচা। তিনি জানান, তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

এরপর নুনচাপি নামে এক জায়গায় স্থানীয় গ্রামরক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আততায়ীদের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। মণিপুরের অনেক অঞ্চলের মতোই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জাতিগোষ্ঠী-অধ্যুষিত ওই অঞ্চলেও সক্রিয় রয়েছে গ্রামরক্ষা কমিটি। এই কমিটি গ্রামের সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে গঠন করা হলেও এদের অধিকাংশের কাছেই রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এসব সদস্যের সঙ্গে সশস্ত্র ‘সন্ত্রাসীদের’ গোলাগুলি শুরু হয়। এতে অন্তত তিনজন সন্দেহভাজন কুকি ‘সন্ত্রাসী’ ও গ্রামরক্ষা কমিটির এক মেইতেই সদস্য নিহত হন।

জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে পুলিশের ওপরেও গুলি চালানো হয়েছে। এছাড়াও শনিবার কাকচিং জেলার সুগনুতেও উত্তেজনা বেড়েছে। সেখান থেকেও গুলি ও বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর ইম্ফালে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখার মহাপরিচালক কে কাবিব বলেছেন, ‘গতকাল সংঘর্ষ হয়েছে মণিপুরের উত্তর অংশের দুই জেলা চুরাচাঁদপুর ও বিষ্ণুপুরের সীমান্ত অঞ্চলে। সেখানে পরিস্থিতি আজও থমথমে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ও পশ্চিম মণিপুরের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। অনেক জায়গায় সংঘর্ষ এখনো চলছে।’

পরিস্থিতির পর্যালোচনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শনিবার তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ