মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জননেতা নাছির উদ্দীন চৌধুরীর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের দ্বারপ্রান্তে ভারত ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনে বোমা হামলায় ১,২০০ জনেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে: মনিটর সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ২৫ লাখ টাকার মোবাইল জব্দ সমাজ ও দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে তরুণদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রচেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে : বিএনপি মহাসচিব নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তাই  দেশে এমন আর্থিক ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা  নেপালে আন্দোলনে অংশ গ্রহন করা ছাত্ররা ফিরে যাচ্ছে
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

সাতক্ষীরার বাজারে চাহিদা বাড়ছে পানিফলের

  • আপডেট এর সময় : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬২ বার পঠিত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে পানিফল। আগাম চাষ করা ফল বিক্রি করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। অন্য ফলের পাশাপাশি পানিফল বাজার দখল করতে শুরু করায় চাহিদাও বাড়ছে। ফলটি সবার পছন্দের, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পানিফলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে এক দশক আগে। পানিফল জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে ফলটি জন্মে। পানিফলের একেকটি গাছ প্রায় ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। স্থানীয়দের কাছে পানিফলের আরেক নাম ‘পানি শিঙাড়া’।ফল চাষিরা জানান, পানিফল চাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে। ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ব হলে কালো রং ধারণ করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিণ্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাঁস। কাঁচা ফলের নরম শাঁস খেতে বেশ সুস্বাদু। পানিফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সেদ্ধ করেও খাওয়া যায়।

পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধশতাধিক চাষির মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরে ফলন আসার পর বাজারদর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল কেনেন। এভাবে ১০-১২ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোর, নাটোর, বগুড়া, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল সরবরাহ করেন। বর্তমান জেলার বাইরে বাজারভেদে পাইকারি বিক্রি করেন।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. ইউনুস আলী জানান, এ বছর দেবহাটায় আনুমানিক ৫০ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষাবাদ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ১৫-২০ মণ ফলন পেয়ে ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ হবে কৃষকের।

উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান জানান, পানিফল কৃৃষিখাতের চাষ হিসেবে ধরা না হলেও দ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। অন্য বছরের তুলনায় আবাদ বেড়েছে। চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। ফলটি চাষাবাদে খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে বেশ লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর আগ্রহ বাড়ছে পানিফল চাষিদের।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ