রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শরণখোলায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু  কোটালীপাড়ায় প্রায় দুই যুগ পর বিএনপির দ্বি বার্ষিকী সম্মেলন তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কোটালীপাড়ায় দীর্ঘ বছরের বন্ধ থাকা সড়কের কাজ শেষের পথে থাকায় জনগণ সন্তুষ্ট। ৮২ কেজি গাঁজা রাজধানীর ধোলাইপাড়ে র‌্যাব-১০ কর্তৃক উদ্ধার ও পিকআপসহ ০৪ জন আটক শিবগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ভেসে যাচ্ছিল হরিণ শাবক শরণখোলার রিং বাধ গতকাল বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত  আসিয়ান অল-স্টারসের বিপক্ষেও জয়ের দেখা পেলো না ম্যানইউ
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

খাবার গ্রহণে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৪২ বার পঠিত হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক :  বড় প্লেটে একসঙ্গে খাওয়া সুন্নত। আরব দেশে এখনো বড় প্লেটে খাবার গ্রহণের সংস্কৃতি আছে। যদিও আলাদাও খাওয়া যায় এবং যার যার রুচি অনুযায়ী খাবার গ্রহণে কোনো অসুবিধা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে প্রিয় খাদ্য হলো যাতে অনেক হাত অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ যে খাদ্য অনেকে একসঙ্গে খায়। (সহিহুল জামে, হাদিস : ১৭১; সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস : ৮৯৫) একসঙ্গে খেলে খাবারে বরকত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা একত্রে খাবার গ্রহণ করো। পৃথক হয়ে খাবার গ্রহণ কোরো না। কারণ একজনের খাবার দুজনের জন্য যথেষ্ট হবে আর দুজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২৫৪) তবে একসঙ্গে খেতে বসে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা উচিত। এবং এমনভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত, যাতে অন্যের অরুচি না হয়।

নবী (সা.) (একসঙ্গে খেতে বসে) সঙ্গীদের অনুমতি ছাড়া কাউকে একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২৩৫৭) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি বড় খাবারের প্লেট ছিল। সেই প্লেট নিয়ে ঘটে গেল এক শিক্ষণীয় ঘটনা। আবদুল্লাহ বিন বুসর (রা.) বলেন, একবার নবী করিম (সা.)-এর জন্য একটি ছাগল হাদিয়া পাঠানো হলো। সেদিন খাদ্য অল্প ছিল। ফলে তিনি তাঁর পরিবারকে বলেন, এই ছাগলটি রান্না করো। আর এই যে আটা এ দিয়ে রুটি তৈরি করো এবং তার ওপর সারিদ ছড়িয়ে দাও। নবী করিম (সা.)-এর একটি (বড়) গামলা ছিল যাকে ‘গাররা’ বলা হতো। চারজন লোক সেটাকে বহন করত। যখন সকাল হলো এবং তারা সালাতুজ জুহা আদায় করল, তখন ওই গামলাটি আনা হলো, লোকেরা তার চার পাশে জমা হলো। যখন লোকসংখ্যা বেশি হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) হাঁটু গেড়ে বসলেন। এতে এক বেদুইন বলল, এ কোন ধরনের বসা? নবী করিম (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে উদার ও বিনয়ী বান্দা হিসেবে পাঠিয়েছেন, অবাধ্য ও স্বেচ্ছাচারী হিসেবে পাঠাননি। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা এই খাদ্যের পার্শ্ব থেকে খাও, মধ্যভাগ থেকে খেয়ো না। কেননা মধ্যভাগে তোমাদের জন্য বরকত দান করা হয়। তারপর বলেন, তোমরা নাও এবং খাও। মহান আল্লাহ আমাদের খাবার বরকতময় করুন।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ