অনলাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার- সব বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন এই গুণী নির্মাতা। সম্প্রতি এক স্ট্যাটাসে ফারুকী জানালেন, সরকার পতনের পরেও আওয়ামী লীগ নানাভাবে তাকে নিয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। যে বিষয়টি আবারও তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ফারুকী তার স্ট্যাটাসে বলেছেন, “আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি! আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।” নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনটি বিষয় তুলে ধরেন এই নির্মাতা। যেখানে তিনি বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মী না। তিনি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারেন। ফারুকী আরো বলেন, বিগত সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হইতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যান্যের সমালোচনা করতে হইতো। সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করতে হবে এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিতে হবে। নানাবিধ কৌতুকময় ছিল জীবন। ফারুকীর ভাষ্যমতে, বিগত সরকারের লুটপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, চুরি-চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামায় তাদের ওপরে ক্ষোভ বড় গভীর।এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন টাইমলাইনের ওপর পিএইচডি করছে বিরোধীরা। এসব না করে বিগত সরকারের অনুসারীদের আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটার পরামর্শ দেন ফারুকী। আর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সীমাহীন লুটপাটের বিচার করারও আহ্বান জানান নতুন সরকারের প্রতি।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited