চিয়া বীজ এবং শসা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খান। পানীয়টি যেমন আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে, তেমনি এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে রাখবে সুস্থ। চিয়া বীজের ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।চিয়া বীজ ও শসা কেন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? চিয়া বীজ ভিজিয়ে রেখে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া আমাদের হাইড্রেশন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে শসা ও চিয়া বীজের পানীয়। চিয়া বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দারুণ উৎস। এটি তাই বিপাকীয় স্বাস্থ্য ও হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্যও অপরিহার্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রোটিনেরও চমৎকার উৎস চিয়া বীজ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই বীজ শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। চিয়া বীজ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে শসা একটি হাইড্রেটিং সবজি। এগুলোতে ক্যালোরি কম এবং পানির পরিমাণ বেশি। হাইড্রেশনের জন্য শসা দারুণ সহায়ক। শসা ভিটামিন এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ। সেইসাথে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে এতে। ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ট্যানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে শসায়, যা প্রদাহ কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ভিজিয়ে রেখে কেন খাবেন চিয়া বীজ ও শসা? চিয়া বীজের পানি শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে। ভেজানো হলে তারা তাদের ওজনের ১০-১২ গুণ পানি শোষণ করতে পারে ও জেলের মতো সামঞ্জস্য তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটি চিয়া বীজের দ্রবণীয় ফাইবারের কারণে হয়, যা ফুলে যায়। এই জেল আমাদের পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজমেও সহায়তা করে এটি। ভিজিয়ে রাখলে চিয়া বীজ এবং শসা উভয়ের পুষ্টি উপাদান পানিতে মিশে যায় এবং তৈরি হয় একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয়। চিয়া বীজে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার ওজন কমানোর সহায়ক। চিয়া বীজ খেলে আমাদের অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ও ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা কমে। এ ছাড়া এই দুই উপাদানে থাকা নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল পানিতে দ্রবীভূত হয়ে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।