সাবেক প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর দলের চেইন অব কমান্ডে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে, আপাতত নতুন কোনো প্রধান নেতা বেছে নিচ্ছে না গোষ্ঠীটি।
হামাসের একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। গোষ্ঠীটির একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাৎ বরণের ঘটনার পর থেকে আমরা হামাসের চেইন অব কমান্ড নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। কাতারে হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে বেছে নিয়ে একটি কমিটি গত সেপ্টেম্বরে গঠিত হয়েছিল। দলের নীতিনির্ধারনী সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত আপাতত সেই কমিটিই নেবে।”
“যদি যাবতীয় শর্ত অনুকূলে থাকে, তাহলে আগামী মার্চ মাসে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রধান নেতা বেছে নেবো। পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকলে নির্বাচন আরও পরে হবে। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ৫ সদস্যের কমিটিই দলের নির্বাহী দায়িত্বে থাকবে।”গত আগস্ট মাসে হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর শীর্ষ ৫ নেতার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল গোষ্ঠীটি। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারেই হানিয়ার উত্তরসূরী প্রধান নেতা হয়েছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। কমিটির সদস্যদের সবাই কাতারে বাসবাস করছেন।
গত ৩১ জুলাই ইরানে এক আততায়ী হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ও শীর্ষ নির্বাহী নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর ৭ আগস্ট এই পদে আসেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এর আগ পর্যন্ত হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ছিলেন তিনি। হামাসের শীর্ষ নেতার পদ পাওয়ার ৪০ দিনের মাথায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন তিনি।কমিটির ৫ জন সদস্যের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারউইশ এবং জাহের জাবারিন। এদের মধ্যে খলিল আল হায়া এবং জাহের জাবারিন যথাক্রমে ফিলিস্তিনের দুই অঞ্চল গাজা এবং পশ্চিম তীরের প্রতিনিধি। খালেদ মেশাল হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার পাশাপাশি একজন দক্ষ লিয়াজোঁ কর্মকর্তাও। মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ এবং লিয়াজোঁর ব্যাপারটি তিনিই দেখভাল করেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ দারউইশ হামাসের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী শাখা শুরা কাউন্সিলের সদস্য।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল, খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল এবং মোহাম্মদ দারউইশের মধ্যে থেকে কেউ একজন শীর্ষ নেতা হবেন। তবে বর্তমানে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে গোষ্ঠীটি।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited