স্কিন ক্যান্সার বা চামড়ায় ক্যান্সার হলে খুব সহজে বোঝা যায় না। লক্ষণ দেখে না বোঝায় বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করে ফেলেন। এতে পরিণতিও ভয়াবহ হয়। স্কিন ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আসুন জেনে নিই স্কিন ক্যান্সার কেন হয়, এই রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।
স্কিন ক্যান্সার কেন হয়?
অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি, অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার, নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ না করানো, ঘন ঘন ব্লিচ করার ও ব্র্যান্ড ছাড়া কসমেটিকস ব্যবহার করলে ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন স্কিন ক্যান্সার
১. শরীরের ত্বকে কোনো এক জায়গায় গোল দাগ হতে পারে ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ। চামড়ায় ক্যান্সার হলে চামড়ার উপরিভাগে কালো, গোলাপি, লাল ও বাদামি ধরনের দাগ দেখা যায়।
২. বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চামড়ার এ রকম দাগে চুলকানি না জ্বলুনি দেখা দেয়।
৩. শরীরে তিল বা আঁচিল থাকলে তার দিকে নজর রাখুন। লক্ষ্য রাখুন এর আকার ও রঙে পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে কিনা।
৪. নিচের ঠোঁটের চারপাশে কোনো দাগ দৃশ্যমান হয়, তবে এটি কেবল হরমোনজনিত ব্রণ তা নয়, এর বাইরে অন্য কোনো সমস্যাকে থাকতে পারে। এটি আসলে হজম সমস্যা এবং এনজাইম ফাংশনসংক্রান্ত সংকেত হতে পারে। এই স্থানে সাধারণত ব্রণ হয় না। সুতরাং দেখতে হবে এটি কীট ও জীবাণু সংক্রান্ত কোনো সমস্যা কিনা।
৫. বয়ঃসন্ধিকাল, ঋতুস্রাব বন্ধ বা অন্য কোনো কারণে প্রায়ই ত্বকে ব্রণ ফুটে ওঠে। ব্রণ, চুল বৃদ্ধি কিংবা চুল পড়া অথবা শুষ্ক ত্বকের লক্ষণও হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে। যদিও এ সমস্যাগুলো চিকিৎসক ছাড়া নির্ণয় করা কঠিন।
৬. পানি আপনার শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর পানি শোষণ না করলে এটি ত্বকে প্রদর্শন করবে, ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে পড়বে। যদি ত্বক পানি শোষণ করে তবে সাধারণত কোনো দাগ থাকবে না। প্রতিদিন চাহিদামাফিক পানি পান করুন।
৭. ফুসকুড়ি, লাল ফোসকা বা ত্বকে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কী করবেন
এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়ালেই সতর্ক হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার ত্বকের উপযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অনেকে প্রতিদিনই মেকাপ নেন। মেকআপের কেমিক্যালস ত্বকের কোষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ত্বকের ওপর এসব কেমিক্যালসের আস্তরণ ক্যান্সার ডেকে আনে। তাই প্রয়োজন ছাড়া মেকআপ না করাই ভালো। এ ছাড়া ঘন ঘন ব্লিচ করার প্রবণতাও কমিয়ে ফেলুন। আর ত্বকের যতেœ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন।