সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেগম জিয়ার উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়ার সাথে ফুলবাড়ীতে বিএনপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’ শুটিংয়ে আপত্তিকর আলোচনা, নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা অভিনেত্রীর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত আয়করের ভীতি : সঠিক তথ্য পেতে হিমশিম অর্থনৈতিক শুমারির মাঠকর্মীদের চারঘাটের কৃষি উদ্যোক্তা হানিফ মাল্টা ও বেদেনা চাষে সফল, তৈরি করতে চান এগ্রোপার্ক বাজে ব্যাটিংয়ে ভারতের কাছে ফাইনালে হার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বাকৃবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৬ জানুয়ারি
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন : ০১৭১২-৫২২৫৩৭, ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৭ বার পঠিত হয়েছে

সারা বছর পাওয়া যায়, এমন একটি ফল পেয়ারা। দেশীয় এই ফল দামে সস্তা ও সহজলভ্য। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমলকী ছাড়া অন্য যেকোনো ফলে পাওয়া যায় না। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ পেয়ারার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
পুষ্টিগুণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পেয়ারায় ৪টি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ, বিশেষ করে ভিটামিন সি রয়েছে। একটি পেয়ারায় রয়েছে চারটি আপেল ও চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ পানি, ফাইবার, ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। পেয়ারা ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস। এতে ২১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি মুখগহ্বর, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। সাধারণত ফলে ভিটামিন এ সরাসরি পাওয়া যায় না। এটি প্রথমে ক্যারোটিন রূপে থাকে, পরবর্তী সময়ে তা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ক্যারোটিন শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ওয়ান ও শূন্য দশমিক শূন্য ৯ মিলিগ্রাম বি টু পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন, ১ দশমিক ১ গ্রাম স্নেহ ও ১৫ দশমিক ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। পেয়ারা নানা রকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম মিনারেল, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ রিবোফ্লেভিন ১ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে খুব কাজ দেয় পেয়ারা। পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলিটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারাপাতাও বেশ কার্যকরী। রোগপ্রতিরোধে
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে। দেহের কোথাও কেটে গেলে ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ক্যানসার প্রতিরোধে
ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে এই ফল। প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে পেয়ারা খুবই উপকারী।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা প্রয়োজন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড কমে আসে। পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। লাইকোপিনসমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা নিয়মিত খেলে তা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে
শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পেয়ারা। বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধ করে পেয়ারা। আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় পেয়ারা শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়।
স্ট্রেস দূর করে
স্ট্রেস দূর করতে দারুণ কাজ করে পেয়ারা। পেশি আর স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। চাপ কমায়, শক্তি বাড়ায়।
পেটের সমস্যায়
যেকোনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের গোলযোগে সবচেয়ে কার্যকরী হলো পেয়ারা। এ ছাড়া এই ফলের রস কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে খুব ভালো কাজ করে। পেয়ারা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের পরিচর্যায়
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে ও শীতে পা ফাটা রোধ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘদিন।
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে
অনেকেরই পিরিয়ড চলাকালে পেটে তীব্র ব্যথা হয় এবং প্রতিকারে ওষুধ সেবন করতে হয়। এ সময় যদি কেউ পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস খান, তাহলে তাঁর পিরিয়ডের ব্যথা দ্রুত সময়ে উপশম হতে পারে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ