যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিকে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভোটারদের উদ্দেশ্যে তাদের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেছেন।
কমালা হ্যারিস তার বক্তব্য এমন স্থানে দিয়েছেন, যেখানে প্রায় চার বছর আগে ক্যাপিটল দাঙ্গার ঠিক আগে আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও বক্তব্য রেখেছিলেন।
কমালা হ্যারিস ভোটারদেরকে নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, এই নির্বাচন “সম্ভবত আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট” এবং এটির মানে “স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নেওয়া”। এর মাধ্যমে মার্কিন ভোটাররা “সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনীর পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারেন”।
তিনি তার এই সমাপনী বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও আক্রমণ করতে ভুলেননি। তিনি বলেন, “প্রায় চার বছর আগে এই স্থানে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাঁড়িয়েছিলেন এবং জনগণের ইচ্ছেকে দমন করার জন্য সশস্ত্র জনতাকে পাঠিয়েছিলেন।”
যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি এখন বড় একটি সমস্যা। এ বিষয়ক তার বক্তব্য হলো, “এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খরচ কমানো, যা মহামারির আগেও বাড়ছিল এবং এখনও অনেক বেশি।”জীবনের ব্যয় সংকট নিয়ে তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারি”। তিনি তার এই সমাপনী বক্তব্যে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মানুষ তাদের নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা রাখে।”
এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই কমালা হ্যারিস বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প “আমেরিকার নারীদের গর্ভধারণ করতে বাধ্য করবেন… আপনারা প্রজেক্ট ২০২৫ গুগল করুন।”
যদিও ট্রাম্প এই ধরনের কিছু করার পরিকল্পনা করছেন, সেরকম কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।
কমালা হ্যারিস যে প্রজেক্ট ২০২৫-এর কথা উল্লেখ করেছেন, তা থিংক ট্যাংক হ্যারিটেজ ফাউন্ডেশন দ্বারা পরবর্তী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের জন্য তৈরি একটি অতিরক্ষণশীল নীতি প্রস্তাবের তালিকা।
যদিও ডোনাল্ট ট্রাম্প ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ থেকে বারবার নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন ও বলেছেন, “প্রজেক্ট ২০২৫ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এর পেছনে কে আছে, তা নিয়েও আমার ধারণা নেই।”অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়ার অ্যালেন্টাউনে একটি প্রচারণা সমাবেশ করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, যেটির ফলাফল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ট্রাম্প তার ভাষণ শুরু করেন একটি সহজ প্রশ্ন দিয়ে। ভোটারদেরকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “চার বছর আগের তুলনায় আপনি কি এখন ভালো অবস্থায় আছেন?”
এরপর একে একে তিনি তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিগুলো পুনরাবৃত্তি করেন। সেগুলোর মাঝে রয়েছে– মূল্যস্ফীতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের “অনুপ্রবেশ বন্ধ করা”। তিনিও কমালা হ্যারিসের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “কমালা আমাদের লজ্জিত করেছে। তার মাঝে নেতৃত্বের যোগ্যতা নেই।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান এবং কোনও প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন যে, তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচনে “কারচুপি” করবে, ইতোমধ্যে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এরপর তিনি পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কাস্টার কাউন্টির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। সেখানকার কর্মকর্তারা এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, তারা ভোটার নিবন্ধন ফর্ম তদন্ত করছেন, যা জাল হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
যদিও নির্বাচনী কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, কাউন্টির নির্বাচন সুরক্ষিত রয়েছে এবং সন্দেহভাজন প্রতারণার বিষয়টি চিহ্নিত করা তাদের “সিস্টেমের কার্যকারিতার” একটি লক্ষণ।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited