নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে থাকে। আর হিমেল বাতাসে তীব্র শীতের কবলে পড়েছে উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদী তীরবর্তী চরের হতদরিদ্র মানুষ। এদিকে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু বৃদ্ধরা। পাশাপাশি তীব্র শীতের কাঁপছে গরু-ছাগলসহ প্রাণীকুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘনকুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে যাতায়াত করছে। ফুলবাড়ী হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।
কুরুষাফেরুষা এলাকায় দিনমজুর আব্দুল জলিল বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। কাজ করা খুব সমস্যা হইছে আমাগো। আজও সেই কুয়াশা রাস্তা দেখায় যায় না। কাজ করার সময় হাত বরফ হয়ে যায়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এই মাসে তাপমাত্রা আরও কমে ২-৩টি শৈতপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।