রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক থেকে দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বাজারের একাধিক দোকানে ঘুরেও মিলছে না তেল। আবার কোনো দোকানে দুই-একটি বোতলজাত সয়াবিন পেলেও দাম রাখা হচ্ছে বেশি।
রাজধানীর কাওরান বাজার, মহাখালী, শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোজ্য তেল পরিশোধন কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। যতোটুকু আসছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। রমজানকে সামনে রেখে কোম্পানিগুলো এখন থেকেই বাজারে সরবরাহ কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দফায় আমদানি শুল্ক কর কমিয়েছে সরকার। এতে প্রতি কেজি অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ককর কমেছে ১০ থেকে ১১ টাকা। কিন্তু বাজারে এর ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। শুল্ককর কমানোর ফলে ভোজ্য তেলের আমদানি বাড়ার কথা, উল্টো আমদানি আরো কমেছে।
আমদানিকারকদের দাবি, বর্তমানে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়তি। এ অবস্থায় তারা ভোজ্য তেলের দর সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।
এ নিয়ে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে যে তেল বিক্রি হচ্ছে তাতো আগেই আমদানি করা। সেক্ষেত্রে ভোক্তাদের জিম্মি করে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।