নিজেস্ব প্রতিনিধি: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠন।
রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় ভারতীয় দূতাবাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬ প্রতিনিধি ওই স্মারকলিপি জমা দেন।
দূতাবাসে যাওয়া ৬ প্রতিনিধি হলেন- যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
এই তিন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘আমরা বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী চাই। কোনো আগ্রাসীমূলক মনোভাবের প্রতিবেশীর দরকার নেই।’
তারা জানান, ত্রিপুরায় বাংলাদেশি সহকারী হাই কমিশনে ভাঙচুর, পতাকা অবমাননা, সম্পদ বিনষ্ট করা – এসব অবমাননার বিচার দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
একইসঙ্গে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ‘একপেশে উসকানিমূলক বক্তব্য’ ও ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বিনষ্টের মতো সংবাদ যাতে পরিবেশন না করা হয়, সে বিষয়টিও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে অস্বীকার করা যাবে না- উল্লেখ করে ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’ থেকে যাতে ভারত বিরত থাকে সে বিষয়টি বলা হয়েছে বলে জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।
এর আগে ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের পদযাত্রা রামপুরায় পৌঁছালে সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় হ্যান্ডমাইকে গুলশান জোনের ডিসি তারেক আহমেদকে বলতে দেখা যায়, আমরা যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই। তিনি তিন সংগঠনের ছয় জন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান।
তারেক আহমেদ বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যতটুকু করা দরকার ঠিক ততটুকুই পুলিশ করছে। বিশৃঙ্খলা না হলে আমরা কিছুই বলবো না, যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই।
ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে বলে নেতাদের জানান তিনি। পরে তিনটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ছয়জনকে পুলিশ ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য গাড়িতে করে রওনা দেয়।