অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল আজ শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। দেশটিতে সামরিক শাসন জারির চেষ্টার কারণে বিরোধী দলগুলো তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালিয়েছিল।
৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। যদিও জনগণের চাপের মুখে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির জনগণ হতবাক হয়ে পড়ে। তাঁর নিজ দলের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। মেয়াদের অর্ধেক পথে এসে ঝুঁকির মুখে পড়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদ।
ইউন সুক-ইওল সামরিক শাসন জারির পর তাঁর অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে উপেক্ষা করেই বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোট হয়। তবে সে ভোটে তিনি উতরে যান। যদিও বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়াকে সাংবিধানিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। আইন ভঙ্গের কারণে দেশজুড়ে তাঁর পদত্যাগের ব্যাপক দাবি উঠছে।
বিরোধী দলগুলো আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা করেছে। ভোটকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের বিক্ষোভের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
প্রথমবার বিরোধী দলগুলো যে অভিশংসন প্রস্তাব এনেছিল, তা পাস করতে পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এর আগে ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসন প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করায় তা ব্যর্থ হয়।
এর পর থেকে পিপিপির নেতা হ্যান ডং-হুন দলের সদস্যদের দ্বিতীয় দফা ভোটে অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি নেতা বলেছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের ১৯২টি বিরোধী দলগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসেবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত ৮টি ভোট পেতে হবে।
ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির কয়েকজন নেতা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বললেও গতকাল শুক্রবার দলটি জানিয়েছে, এবারের ভোটেও তাঁরা অভিশংসন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।
অভিশংসিত হলে সাংবিধানিক আদালত তাঁকে অপসারণ বা পুনর্বহাল করার আগপর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তৃত্ব হারাবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান অনুযায়ী, যদি আদালত ইউনকে অপসারণ করেন বা তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited