অনলােইন ডেস্ক: হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের সময় এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তবে আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন অভিনেতা। এ মামলায় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন আল্লু অর্জুনকে।
তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের শুনানির ঠিক এক ঘণ্টা আগে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এই গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আল্লু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল শুক্রবার আল্লুকে তাঁর বাড়ি থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ গ্রেপ্তার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ।
এরপর চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে অভিনেতাকে নিয়ে এসে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। আল্লুকে নামাপল্লি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এর আগে অভিনেতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ মামলায় আল্লুর নিজস্ব দেহরক্ষী সন্তোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটার সময় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে অভিনেতার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি এ মামলার আগামী শুনানির দিন ঘোষণা করেছেন আদালত। এদিকে আল্লুর অভিযোগ যে পুলিশ হঠাৎ তাঁর শয্যাঘরে ঢুকে পড়েছিল। এমনকি তাঁকে পোশাক বদলাতে এবং নাশতা খাওয়ার সময় দেওয়া হয়নি। আবার এদিকে রেবতীর স্বামী ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারির বিষয়ে কিছু জানতেন না। আর তিনি এই মামলা ফিরিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন। ভাস্করের কথায়, এ ঘটনার পেছনে আল্লুকে সরাসরি দায়ী করা যায় না।
আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৪ ডিসেম্বর রাতে আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লির সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারে কাউকে না জানিয়ে হঠাৎই গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে থিয়েটারের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর ধাক্কাধাক্কিতে বেশ কিছু ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। এই রাতে পদপিষ্ট হয়ে অকালে প্রাণ হারান ৩৫ বছরের রেবতী।
রেবতীর সঙ্গে ছিল তাঁর ১৩ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। এ ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছিল শ্রীতেজ। এখনো কিশোরটি ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন আছে। শ্রীতেজের চিকিৎসাজনিত সব খরচের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আল্লু। আর তিনি রেবতীর পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তাঁর সুরক্ষাকর্মী এবং প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ ও ১১৮(১) ধারায় মামলা করেছিল রেবতীর পরিবার। রেবতীর পরিবারের বক্তব্য, আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। আর প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।