সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেগম জিয়ার উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়ার সাথে ফুলবাড়ীতে বিএনপির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’ শুটিংয়ে আপত্তিকর আলোচনা, নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা অভিনেত্রীর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত আয়করের ভীতি : সঠিক তথ্য পেতে হিমশিম অর্থনৈতিক শুমারির মাঠকর্মীদের চারঘাটের কৃষি উদ্যোক্তা হানিফ মাল্টা ও বেদেনা চাষে সফল, তৈরি করতে চান এগ্রোপার্ক বাজে ব্যাটিংয়ে ভারতের কাছে ফাইনালে হার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বাকৃবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৬ জানুয়ারি
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন : ০১৭১২-৫২২৫৩৭, ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ব্যবহার কমেছে কয়লার

  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪ বার পঠিত হয়েছে

দিনািজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে জমেছে কয়লার পাহাড়। কর্তৃপক্ষ বলছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাহিদা মতো কয়লা না নেওয়ায় খনিতে জমেছে কয়লার স্তুপ। দ্রæত এসব কয়লা ব্যবহার না বাড়লে ব্যহত হতে পারে উৎপাদন, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই দ্রæত খনি থেকে উৎপাদিত কয়লার ব্যবহারের তাগিদ খনি কর্তৃপক্ষের। গ্রীষ্মকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উৎপাদন শুরু হয় ২০০৫ সাল থেকে। পূর্বে এ খনির কয়লা বানিজ্যিকভাবে বিক্রি হলেও ২০১৯ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৯ সাল থেকে শুধুমাত্র পিডিবি’র কাছে কয়লা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে শুধু মাত্র বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ শুরু করে খনি কর্তৃপক্ষ। তিনটি ইউনিট সমৃদ্ধ ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিদিনের কয়লার চাহিদা ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে ২নং ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে ১ নং ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নং ইউনিট থেকে ১৫০ থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ফলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ২ হাজার ২০০ মেট্রিকটন কয়লা ব্যবহার করছে। এর বিপরীতে কয়লা খনি থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন কয়লা। কয়লা খনিতে কয়লা রাখার জন্য মোট তিনটি ইয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে একটি ইয়ার্ডে সেডিমেন্ট কয়লা। বাকি দুটি ইয়ার্ড উৎপাদিত কয়লা রাখার জন্য ব্যহার করা হয়। এ দুটির ধারন ক্ষমতা ২ লাখ মেট্রিকটন। সেখানে মজুদ আছে ২ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা। বর্তমান যে কূপ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে সে কূপ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো ৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উত্তোলন হবে। এর পাশাপাশি আগামীবছর ফেরুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন কূপ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। সেক্ষেত্রে খনি থেকে দ্রæত কয়লা অপসারন করা না হলে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দেবে।

কয়লা খনি কর্তপক্ষ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী কয়লার স্তুপের উচ্চতা ৫ মিটারের অধিক হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। এর বেশি হলে যেহেতু কয়লা দাহ্য পদার্থ তাই আগুন ধরার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখন ইয়ার্ডে কয়লার স্তুুপ হয়েছে ১৫ মিটারের অধিক। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিনিয়ত কয়লার স্তুপে পনি দেওয়া হচ্ছে। কয়লা অপসারন করতে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে প্রতিনিয়ত তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কোল মাাইনিং কোমম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, বলেন,আমাদের কয়লা খনি থেকে উৎপাদন অব্যাহত আছে। বর্তমান কূপ থেকে লক্ষমাত্রা ছিলে ৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিকটন। উত্তোলিত হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিকটন। আরো প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উত্তোলন হবে। বর্তমানে ব্যবহৃত দুটি ইয়ার্ডে ধারন ক্ষমতা ২ লাখ টনের বিপরীতে ২ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কয়লার স্তুপর উচ্চতা ৫ মিটারের অধিক হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। কিন্তু এখন ইয়ার্ডে কয়লার স্তুপ হয়েছে ১৫ মিটারের অধিক। অতিরিক্ত কয়লা দ্রæত অপসারন করলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে, পাশাপাশি কয়লার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দুর্ঘটনার আশংকায় সার্বক্ষনিক পনি ছিটানো সহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ