অনলাইন ডেস্ক: ‘লিভ টুগেদার’ সংক্রান্ত বক্তব্য সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।মুহম্মদ আরিফুল খবির নামে এক ব্যক্তির পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি (স্বাগতা) হাসান আজাদ নামক একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করিয়াছেন বলিয়া স্বীকার করেন এবং যাহা বিগত ১ (এক) বছর যাবৎ করিয়াছেন তাহাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। পাশাপাশি লীভ টুগেদার করিবার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। আপনি একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনার জানা আছে বিবাহের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্য সহবাস বা লীভ টুগেদার করা সম্পূর্নরুপে হারাম। আপনি উক্ত হারাম বিষয়টি নিজে করিয়া অপরকে করিবার জন্য উৎসাহ প্রদান করিতেছেন।
যাহার কারনে সমাজে ব্যভিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পাইয়া সমাজে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হইবে। আপনার উক্তরুপ বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত প্রদান করিয়াছে। যেহেতু আমার মোয়াক্কেল একজন ধর্মপ্রান মুসলান হওয়ার কারনে আমার মোয়াক্কেলের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত লাগিয়াছে। যাহার কারণে সংক্ষুদ্ধ হইয়া আপনার প্রতি অত্র নোটিস প্রেরন করিয়াছে।
অতএব, অত্র নোটিস প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করিয়া প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন। তাহা আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করিবেন। অন্যথায় আমার মোয়াক্কেল আপনার ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতদানকারী উক্ত বিবৃতির জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন। যাহার দায়ভার আপনার উপর বর্তাইবে।’
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি আর হাসান এক বছর লিভ টুগেদার করেছি। তারপর দুজন দুজনকে পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেছি। আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দুজনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার ভাই-বোনও বলেছে, কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে আসলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা, এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল। তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখো, সারাজীবন থাকতে পারবে নাকি। তারপর সিদ্ধান্ত নাও।’
অভিনেত্রী আরও বলেছিলেন, ‘সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।’
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারিতে বিয়ে করেন জিনাত সানু স্বাগতা। প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদের সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। তার স্বামী একজন লন্ডন প্রবাসী। তার জন্ম ও পড়াশোনা সবই যুক্তরাজ্যে। সংগীত জগতের সঙ্গে জড়িত তিনি।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited