মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জননেতা নাছির উদ্দীন চৌধুরীর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের দ্বারপ্রান্তে ভারত ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনে বোমা হামলায় ১,২০০ জনেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে: মনিটর সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ২৫ লাখ টাকার মোবাইল জব্দ সমাজ ও দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে তরুণদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রচেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে : বিএনপি মহাসচিব নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তাই  দেশে এমন আর্থিক ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা  নেপালে আন্দোলনে অংশ গ্রহন করা ছাত্ররা ফিরে যাচ্ছে
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

  • আপডেট এর সময় : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৩ বার পঠিত হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: ক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিউলের একটি আদালত এ আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে এ পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি ইউন। গত দুই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আদেশ উপেক্ষা করেন তিনি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হওয়ার তিনটি সমন উপেক্ষা করার পরে এই পরোয়ানা এলো।

রোববার রাতে তদন্তকারীরা বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। এ পদক্ষেপকে তার আইনজীবীরা অবৈধ বলে বর্ণনা করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। ইউন এবং তার একজন উত্তরসূরিও পার্লামেন্ট দ্বারা অভিশংসিত হয়েছেন।

দেশটির পরিস্থিতি বলছে, ইউন সুক যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। এটি বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক নয়। বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারাগারেও পাঠাতে পারেন আদালত।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টে ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।

ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ