জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের মেলান্দহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা মামলার ঘটনায় তানজিমুল উম্মাহ নামে একটি মহিলা মাদ্রাসা বন্ধসহ ৪ ব্যক্তিকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাজরাবাড়ি পৌর এলাকার দিলালেরপাড়া গ্রামে।
বিতাড়িত ব্যক্তি ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এমদাদুল হক এমদাদ (৪০) গংরা জানিয়েছেন, আ: সালাম, শরিফ উদ্দিন, নজির হোসেনের ৩৬ শতাংশ জমি এফাজ উদ্দিন সরকারের কাছে বিক্রি করেন। বিআরএস রেকর্ডমূলে এফাজ উদ্দিন ৩৬ শতাংশের স্থলে ১.২৬ শতাংশ জমি ভোগ দখল করেন। ২০১৪ সালে এই অতিরিক্ত জমির মালিক এমদাদ এবং শহিদুল্লাহ গংরা জামালপুর কোর্টে রেকর্ড কারেকশন মামলা করেন।
মামলাটি বিচারধিন থাকাবস্থায় জমির হিস্যা ও বন্টন নিয়ে এমদাদ ও শহিদুল্লাহ গংদের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। শহিদুল্লাহ গংরা এমদাদ গংদের জমি জবর দখলের একপর্যায়ে পুকুরের মাছ, ফসলাদি, গাছপালা লুট করে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এমদাদ পক্ষের আহত আকলিমা খাতুন, ইসলাম এবং হুরমুজ আলীকে উদ্ধার শেষে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এমদাদ গং এবং দুলাল গংরা পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন। এমদাদ গংদের মামলার হাজিরা দিতে গেলে শহিদুল্লাহ গংরা আদালতে আটকা পড়লে বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে। স্থানীয়রা সালিশ কলেও; কোন সুরাহা হয়নি।
এমদাদ গংদের অভিযোগ, দুলাল গংরা সাজানো নারী ঘটিত মামলায় ফাসিয়েছে আমার ছেলেকে। আমাদের ৪ জনকে এলাকায় থাকতে দেয়া হচ্ছে না। মসজিদ থেকেও বিতাড়িত করেছে। এমদাদের পরিচালিত তানজিমুল উম্মাহ মহিলা মাদ্রাসাটিও বন্ধ করে দিয়ে আসবাবপত্রও লুট করেছে। আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সরেজমিন ঘুরে মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসা বন্ধ এবং গ্রাম ছাড়া করার বিষয়ে দুলাল, জাকির হোসাইন গংরা জানিয়েছেন, এমদাদের ছেলে নাইম (১৮) এক ছাত্রী (১৪)কে শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলার পর থেকে ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। বিরোধীয় জমির বিষয়ে তারা জানান-১৯৭৫ সালে আমাদের বংশের নি:সন্তান মোফাজ্জল হোসেনের ভাতিজী তারা বানুর ছেলে রবিউলকে ১০ শতাংশ জমি লিখে দেয়ার পর মারা যান। মোফাজ্জলের মৃত্যুর পরের বছর ১৯৭৬ সালে কিভাবে তারা বানুর নামে ১.২৬ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি হয়? এই নিয়ে নতুন করে বিরোধ চলছে। তারা বানুর ছেলে এমদাদ গংরা জানিয়েছেন, ওদের মুখের কথার ভিত্তি নাই। কাগজই তা প্রমান করবে।
প্রতিবেশি শফিকুল ইসলাম (৬০) জানানা-বিরোধীয় জমির পাশের ক্ষেত আমার। এই জমিটি আগে এমদাদ গংদের দখলে ছিল। ৪/৫ মাস যাবৎ দুলাল গংদের দখলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমদাদ গংদের নারী-শিশুরা বাড়িতেই থাকেন। পুরুষরা বাড়ি ছাড়া। ভিলেজ পলিট্রিক্সের কারসাজিতে পাল্টাপাল্টি ৯টি মামলা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফরিদুল ইসলাম (৪০) জানান-ভিলেজ পলিট্রিক্সের মারপ্যাচে আমিও চাঁদাবাজির মামলার আসামী।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান জানান-দিলালেরপাড়ার ঘটনার খুটিনাটি জানার জন্য ভূক্তভোগিকে থানায় আসতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited