নিজস্ব প্রতিনিধি: রিফাত রায়হান শিক্ষার্থী, ফাইন্যান্স বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আমরা অনেক সময় কোনো শপিংমলে বা সুপার শপে বা শো-রুমে কিছু কিনতে গেলে সেই জিনিস টার প্রাইস ট্যাগে ১৯৯ টাকা, ৯৯৯ টাকা বা ২৯৯ টাকা ইত্যাদি এমন ধরনের দাম দেখতে পাই।
এটাকে Odd pricing বলে। কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে কেনো ২০০, ১০০০ এর পরিবর্তে এমন প্রাইসিং ব্যবহার করা হয়? ১ টাকার পার্থক্যে কি এমন এসে যায়?
তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
•Left Digit effect
আমরা সাধারণত বই পড়ি বা লিখি বাম থেকে ডানে। তাই যখন প্রাইস ট্যাগ দেখি তখন বাম দিকের সংখ্যার দিকে আমাদের মনোযোগ বেশি যায়। এবং সেটা Anchoring effect হিসেবে কাজ করে। মানে ঐ সংখ্যার ওপর বেইসড করেই বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত আমরা নিয়ে থাকি।
যেমন: ১৯৯ টাকা এবং ২০০ টাকা
১ তো ২ এর থেকে ছোট। মানে ঐ ১০০ এর মতোই খরচ হচ্ছে।
পুরো ২০০ হলে কিনতাম না!!
•Perceived savings
একটা শার্ট কিনলাম দাম ১৯৯ টাকা দিয়ে, সম্পূর্ণ ২০০ টাকা তো আর লাগলো না। একটু হলেও তো টাকা বাঁচলো!
•Charm Number or Fluent number
Even(জোড়) নাম্বার গুলো থেকে Odd (বিজোড়) নাম্বার গুলো ক্রেতার purchasing behaviour এ বিশ্বাসযোগ্য বা পরিচিত হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। এরফলে আমরা অনেক সময় সেই পণ্য টা কিনে ফেলি।
মূলত এই বিশ্বাসযোগ্যতা ডেভেলপ করে biasness of number থেকে। যেটি তৈরি হয় নাম্বারের সাথে আমাদের পরিচয় দিয়ে। যেমন: সপ্তাহে ৭ দিন, ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন, ৯ হচ্ছে সব থেকে বড় সংখ্যা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে আমরা এসব সংখ্যাকে বেশি পরিচিত এবং মনের অজান্তে অনেক সময় বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে ভেবে থাকি!
তবে এই প্রাইসিং কাজ করে যে পণ্যগুলো সম্পর্কে আমাদের কাছে ইনফরমেশন কম থাকে সেগুলোর প্রাইসিং এর ক্ষেত্রে।
যেমন: জমির দামে কিন্তু সাধারণত কেউ এই প্রাইসিং ব্যবহার করে না। কারণ জমি কিনার আগে আমরা যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করি সেই জমি সম্পর্কে।
সুতরাং বিক্রেতার কাছে benefit of unknown product অপশন টা থাকে না!