বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শাল্লায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হুমকি দিলেন গৌতম গম্ভীর ইংল্যান্ডের মাঠকর্মীদের পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হলো ৭০টি বাড়ি, ঝুঁকির মুখে শতাধিক বাড়ি সার্চ ইঞ্জিনকে আরও স্মার্ট করতে নতুন ফিচার আনলো গুগল ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ ডাকসু, রাকসু ও জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় প্রশাসনকে শিবিরের ধন্যবাদ ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান শাল্লায় এক যুবকের আত্নহত্যা কুড়িগ্রামে শেষ হলো পাঁচদিনব্যাপী ‘পদ্মপুরাণ-ভাসান গান উৎসব’ গুগলের কঠোর পদক্ষেপে বন্ধ হলো ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেল!
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবেন শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১২ বার পঠিত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন অনশনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে তারা অনশনরত রয়েছেন। এই সময়ে তারা পানাহার থেকে বিরত রয়েছেন। প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অনশনে অংশগ্রহণ করেছে বলে তারা জানান।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম জানান, ১৩ জন প্রাথমিকভাবে অনশনে বসেছি, অনশনকারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে ৫০ জনের মতো হয়েছে। আরও অনেক শিক্ষার্থী যুক্ত হবে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কেউ আসেনি কথা বলতে। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত যেই আসুক আমরা অনশন অব্যাহত রাখব। এখনো কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়নি। সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই ক্লান্তি রয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এই অনশনে বসেন। তাদের দাবিগুলো হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।

জবি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কে এম রাকিব বলেন, আমরা ৩ দাবিতে গণ-অনশনে বসেছি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ-অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র সুকুল বলেন, অস্থায়ী আবাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আমরা লালফিতার দৌরাত্ম্য দেখতে চাই না, চিঠি বিলির কাহিনি আর শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব উল ইসলাম বলেন, জবির ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার, অনুগ্রহ নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা সীমাহীন জায়গা সংকট, অবকাঠামোর ঘাটতি, আবাসন সমস্যায় ভুগছি। পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর এবং জনবহুল পরিবেশে শিক্ষার মৌলিক চাহিদাগুলো কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু গত দুই দশকে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি, বাস্তবায়ন নয়।

এ বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের পেছনে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত আমাদের দাবির অংশ।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ