লক্ষীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী নাসরীন আক্তারের উপর কথিত সমন্বয়ক পিয়াস ও তার পরিবারের হামলা চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিয়াস ও তার ভাই ফাহিম সহ আরও কয়েকজন একটি বাসার ভেতরে ডুকে নাসরিন আক্তার (৩৮)ও তার পরিবারের সঙ্গে হাতাহাতি করছে। এতে উভয়পক্ষকে সমান উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ ই জানুয়ারি) পিয়াসের বড় ভাই ফাহিম, পিয়াস ও তার মা রেহান বেগমসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে রায়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার।
সোমবার (১৩ ই জানুয়ারি) রাতে রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আগ থেকেই প্রতিবেশী নাসরিন বেগমের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে পিয়াসের পরিবারের সাথে । নাসরিন আক্তার বলেন, সমন্বয়ক পিয়াস ও তার পরিবার হামলা চালিয়েছে। আমাকে এবং আমার মেয়ে মারিয়াকে মেরে আহত করেছে।
মারিয়া আক্তার বলেন, পিয়াসের পরিবারের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে, ঘটনার দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে পিয়াস এবং তার বড় ভাই ফাহিম আমাদের উপর হামলা চালায় মারধর করে। এবং সে নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হুমকি দমকি দিচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে পিয়াস জানান,জমি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই পারিবারিক একটি বিষয়ে নিয়ে জামেলা, আমি কোথাও সমন্বয়ক পরিচয় দেইনি। এখন ব্যাস্ত আছি ১০ মিনিট পর কল দিন বলে লাইন কেটে দেন। ১০ মিনিট পর একাধিক বার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পিয়াসের ফাহিম হোসেন (২৫) বলেন, আমার মা, ভাই ও আমাকে নাসরিন আক্তারের পরিবার গালমন্দ করে। তাই আমরা তাদের সাবধান করেছি।
খবর নিয়ে জানাযায়, রায়পুর উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন কমিটি বা সমন্বয়ক নেই। ছাত্র প্রতিনিধির তালিকায় ও পিয়াসের নাম নেই। তবে তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন ভূইয়া বলেন, নাসরিন আক্তার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।