অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেও বাংলাদেশ ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সীমান্ত উত্তেজনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সচল রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এই ডিজেল ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে রেলপথে বাংলাদেশে আনা হবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিপিসি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর দেশের পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৪ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। বাকি জ্বালানি স্থানীয় শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এনআরএল থেকে রেলপথে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সীমান্তে ভারতের বিএসএফের কাঁটাতার নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও স্থানীয়রা বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এর পাশাপাশি, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
তবে এই উত্তেজনার মধ্যেও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ জ্বালানি এবং খাদ্য আমদানির বিষয়ে কাজ করছে। এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।