খেলাধুলা ডেস্ক: প্লে-অফের আগে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ; যেখানে টেবিল টপার ফরচুন বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের বাজিমাত। হ্যাটট্রিক জয়ের ফলে কোয়ালিফায়ার খেলার টিকিট পেল চিটাগং, রংপুর নেমে গেল দুই থেকে তিনে। সমান জয়ে পয়েন্ট সমান হলেও নেট রানরেট ভালো থাকায় রংপুরকে টপকে দুইয়ে উঠে কিংসরা। টেবিল টপার ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে চিটাগং কিংসের নিশ্চিত করল শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও চিটাগং কিংসের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। আর এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স খেলবে খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে। চিটাগং কিংসের ব্যাটিং ইনিংসে ঝড় তোলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৪১ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন, ৮ ছক্কার বিপরীতে ইমন এদিন চার হাঁকান কেবল ১টি। শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি, হায়দার আলির ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় বন্দরনগরীর দলটি। ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট টপকাতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল।
২৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠল মোহাম্মদ মিঠুনের দল। কিংসের পেসার বিনুরা ফার্নান্দো প্রথম ওভার মেডেন দিয়ে তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবালের উইকেট। তামিম ডাক হয়ে ফিরলেও আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয় ১১ বলে করেন ৯ রান। ধীরগতির ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ২২ বল খেলে পান ২৪ রান। তবে তিনে নামা ডেভিড মালান অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। প্রথমে মুশফিক, এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী হিসেবে পান ডেভিড মালান। তবে আলিস আল ইসলাম পরপর দুই ওভারে মুশফিক ও মালানকে ফিরিয়ে চিটাগংকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্রেকথ্রু। ৩৪ বল খেলা মালান প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬ ছক্কা ও পাঁচ চারে রান করেন ৬৭। এরপর আরাফাত সানি স্পিন ঘূর্ণিতে ডাক বানান মোহাম্মদ নবীকে। রিশাদ হোসেন উইকেট হারান ব্যক্তিগত ১১ রানে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের পুঁজি চিটাগং কিংসের। দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়েও রানের চাকা সচল রাখেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্লার্ক-ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৭০ রান। ৪১ বলে ৭৫ রান করা ইমন ফেরেন এবাদতের বলে জেমস ফুলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। ২১ বলে ২৬ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই তাইজুলের বলে হারান উইকেট। এরপর হায়দার আলি ও শামীম হোসেন পাটওয়ারি ইনিংস শেষ করেন তাণ্ডব চালিয়ে। ১২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আরেক প্রান্তে ২৩ বলে ৪২ রান আসে হায়দারের ব্যাট থেকে।
সম্পাদক : হালিমা খাতুন, নির্বাহী সম্পাদক : মুন্সি মোঃ আল ইমরান। MAA 23 Multimedia Limited এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১, মুঠোফোন : ০১৮১৭-৫৩০৯৫২, ০১৯৭৯-৭৯৯১৪৬। ইমেইল : dailybartomandeshsangbad@gmail.com
© All rights reserved © Maa 23 Multimedia Limited