মো. নমশের আলম : শেরপুরে চালকলের মাঠে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করায় কয়েকজন তরুণ মিলে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার ওরফে লেমন (৩২)। তিনি শেরপুর পৌরসভার দিঘারপাড় এলাকার ধানচাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে।
শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর রহমান মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কয়েকজন তরুণ শেরপুর পৌর এলাকার দিঘারপাড়ে চালকলে হাবিবুরকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্বজন মো. কামরুল ইসলাম। তিনি রোববার সকালে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত হাবিবুর রহমানের লাশ শেরপুরের বাড়িতে আনা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান তার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। গত শুক্রবার বিকেলে দিঘারপাড় এলাকায় তার বাবার মালিকানাধীন চালকলের চাতালে কয়েকজন তরুণ ক্রিকেট খেলতে গেলে হাবিবুর তাঁদের খেলতে বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ হাবিবুরকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্বজনেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে (হাবিবুর) উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে রাজধানী ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মেট্রোপলিটন মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হাবিবুর রহমান মারা যান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম রোববার সকালে বলেন, স্বজনদের মাধ্যমে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুরের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জেনেছেন। হাবিবুরকে মারধরের ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। এখন সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।