মাহফুজুল ইসলাম মন্নু : একুশে পদকপ্রাপ্ত চারনকবি বিজয় সরকারের ১২৩তম জন্মদিন আজ। অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুরস্রষ্টা কবিয়াল বিজয় সরকার ১৯০২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদরের নিভৃতপল্লী ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
চারণকবি বিজয় সরকারের বাবা নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। কবি নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, মতান্তরে ম্যাট্রিক পর্যন্ত। তার দুই স্ত্রী বীণাপানি ও প্রমোদা অধিকারীর কেউ বেঁচে নেই। কবির দুই ছেলে কাজল ও বাদল অধিকারী ভারতে বসবাস করেন। বিজয় সরকার একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। মুক্তিযুদ্ধের গানসহ ১৮০০-এর বেশি গান লিখেছেন তিনি।
প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সংগীত ও অসাধারণ গায়কী ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন বিজয় সরকার। শ্রোতা মহলে তিনি ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।
বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতের হাওড়ার বেলুডে পরলোকগমন করেন। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়। বিজয় সরকার লিখেছেন, ‘যেমন আছে এই পৃথিবী/তেমনিই ঠিক রবে/সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে’…। অথবা ‘তুমি জানো নারে প্রিয়/ তুমি মোর জীবনের সাধনা’সহ অসংখ্য গান।
বিজয় স্মৃতি সংসদ নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম শহীদ চুন্নু জানান, চারণকবি বিজয় সরকারের ১২৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী জন্মভূমি নড়াইল সদরের ডুমদি গ্রামে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বিজয়গীতি পরিবেশন, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।