আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত শনিবার চুক্তি অনুযায়ী এই বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল তাদের আটকে রেখেছিল। ওই দিনই সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ছয়জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। তবে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত রাখে। অবশেষে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দিরা মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
এর আগে, আরও চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে হামাস। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাসি ইদান, ওহাদ ইয়ালোমি, ইতজিক এলগারাত এবং সোলোমো মান্তজুর নামের এই চারজনের মরদেহ প্রথমে মিসরের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। এরপর সেখান থেকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, মরদেহ হস্তান্তরের সময় হামাস কোনো আনুষ্ঠানিকতা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারবে না।
প্রায় ১০ দিন আগে হামাস চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছিল। তখন কফিন প্রদর্শনের জন্য মঞ্চ তৈরি করে হামাস, যা নিয়ে আপত্তি তোলে ইসরায়েল। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েল চুক্তির শর্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করে এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত রাখে।
দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেই ইসরায়েল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। ১৯ জানুয়ারির পর থেকে ইসরায়েলের গুলিবর্ষণ ও ড্রোন হামলায় গাজায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বন্দিমুক্তি প্রক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে আশার আলো দেখাতে পারে। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আস্থা সংকটের কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল