বাংলাদেশে এবছর (১৪৪৬ হিজরি) সাদাকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২,৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।
ইসলামী শরিয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে প্রদান করতে পারেন। এবছর নির্ধারিত হার অনুযায়ী:
দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজারমূল্যের গড় হিসাবের ভিত্তিতে এই ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, স্থানীয় বাজার মূল্যের তারতম্য থাকতে পারে, সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে ফিতরা প্রদান করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য রমজান মাসে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক সন্তানদের ফিতরা তাদের অভিভাবককে প্রদান করতে হয়। এটি ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই বিতরণ করা আবশ্যক।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রমজানের শেষ সময়ে ফিতরা আদায় করে গরিব ও দুঃস্থদের সাহায্য করার মাধ্যমে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া ইসলামের অন্যতম শিক্ষা।