রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে কাতারে বৈঠকে বসেছেন আরব ও মুসলিম নেতারা ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির খুবিতে অনুষ্ঠিত হলো কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সিদ্দিক হাওলাদারের জানাজায় মানুষের ঢল – এলাকাবাসীর শ্রদ্ধার শেষ বিদায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাবেক সচিব কাজী মিরাজ শোক প্রকাশ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ স্পিনার তাইজুল প্রথম বাংলাদেশি নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা টহল ২০২৬ সালের হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন ১২ অক্টোবর শেষ বোয়ালমারীতে সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

মহাকাশ থেকে ফিরে এলেন দুই মার্কিন নভোচারী ৯ মাস পরে

  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৭২ বার পঠিত হয়েছে

দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে কাটিয়ে অবশেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন দুই মার্কিন নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি সময় পর তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

২০২৩ সালের ৬ জুন এক সপ্তাহের মিশনের উদ্দেশ্যে মহাকাশে গিয়েছিলেন বুচ ও সুনিতা। তাদের যাত্রার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল বোয়িং কোম্পানির নির্মিত ‘স্টারলাইনার’ ক্যাপসুল। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এবং নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করতে হয় তাদের।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে (জিএমটি ৫টা ৫ মিনিট) মহাকাশ স্টেশন থেকে তারা পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানে তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই নভোচারী—মার্কিন নভোচারী নিকোলাস হেগ এবং রুশ নভোচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভ।

প্রায় ১৭ ঘণ্টার যাত্রা শেষে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে সফলভাবে অবতরণ করে তাদের বহনকারী মহাকাশযান। বিশেষ প্যারাস্যুটের মাধ্যমে ক্যাপসুলটি ধীরে ধীরে পানিতে নামে।

নাসার বিশেষ দল ক্যাপসুল অবতরণের পরপরই তাদের উদ্ধার করে এবং হেলিকপ্টারে করে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নাসার বিশেষ উড়োজাহাজে করে তাদের জনসন স্পেস সেন্টারে পাঠানো হবে, যেখানে কয়েক দিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। নাসার ফ্লাইট সার্জনের অনুমতি পেলে তারা পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পারবেন।

দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে অবস্থানের কারণে তারা নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অবদান রেখেছেন। মাইক্রোগ্রাভিটি পরিবেশে শরীরের পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্যও এই মিশন গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

নভোচারীদের প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। ট্রাম্প ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক দাবি করেন, বাইডেন প্রশাসন রাজনৈতিক কারণে এই দুই নভোচারীকে মহাকাশে রেখে দিয়েছিল। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বোয়িংয়ের স্টারলাইনার ক্যাপসুলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নাসা ও বোয়িং এখন ক্যাপসুলটির ত্রুটি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের মিশনের জন্য তা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করছে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ