জয়ের জন্য শেষ ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দরকার ছিল ১৯ রানের, হাতে ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন সমীকরণ হরহামেশাই দেখা যায়। সে হিসেবে এই লক্ষ্য উতরে যাওয়া খুব কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়ার দল সেটি করতে পারেনি। সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষমেশ ১২ রানে বিরাট কোহলিদের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) কাছে হেরে গেছে মুম্বাই। রুদ্ধশ্বাস জয়ের মাধ্যমে মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১০ বছরের জয়খরা কাটিয়েছে বেঙ্গালুরু। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে এই স্টেডিয়ামে জিতেছিল দলটি। গত সোমবার আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ও রাজত পতিদারের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ২২১ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে। জবাবে ৯ উইকেটে ২০৯ রান করে মুম্বাই। ৪২ বলে ৬৭ রান করেন কোহলি। অধিনায়ক পতিদার রান তুলেছেন কোহলির চেয়েও দ্রুতগতিতে। ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন মাত্র ৩২ বলে। শেষ দিকে বেঙ্গালুরুর রান বাড়িয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন জিতেশ শর্মা। ১৬ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে দারুণ ফিনিশিং দেন তিনি। এছাড়া ২২ বলে ৩৭ রান করেন দেবদূত পডিক্কেল। এতেই বিশাল পুঁজি দাঁড়ায় বেঙ্গালুরুর। ২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারায় মুম্বাই। এরপর তিলক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৮৯ রানের জুটিতে একটি সম্ভাবনা তৈরি করে দলটি। তবে সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় পরবর্তী ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৬ রান করেন তিলক। ১৫ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হার্দিক। সূর্যকুমার যাদব ২৮ ও উইল জেকস ২২ রান করেন। এই ম্যাচে মুম্বাইয়ের জার্সিতে মাঠে নামেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ইনজুরিতে পড়ে ৯৩ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন ডানহাতি পেসার। তবে ফেরাটা খুব বেশি ভালো হয়নি তার। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট ছাড়াই ফিরতে হয়েছে বুমরাহকে। মুম্বাইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট ও হার্দিক পান্ডিয়া। বেঙ্গালুরুর হয়ে শেষ ওভারে মুম্বাইকে ধসিয়ে দেওয়া ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪৫ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন যশ দয়াল ও জস হ্যাজেলউড।