অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ গত সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুষ্কৃতিকারীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করে ব্যবসায়িরা। এখন পর্যন্ত অন্তত ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়,
“এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১০টি মামলা করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। এসব নিন্দনীয় কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।”
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা নাগাদ এই ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুলনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৩ জন, সিলেটে ১৯, চট্টগ্রামে ৫, গাজীপুরে ৪, নারায়ণগঞ্জে ৪, কুমিল্লায় ৩ ও কক্সবাজারে ৪ জনকে।
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে কিছু দুর্বৃত্ত হামলা, লুট ও বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে- এমন আগাম তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে ছিল না। ফলে প্রস্তুতি না থাকায় অনেক স্থানে কেএফসি, ডোমিনোজ, বাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্বিচারে হামলা হয়েছে। ‘মব’ সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। হামলার শিকার অনেক প্রতিষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার বন্ধ করে রাখে কর্তৃপক্ষ। কোনো প্রতিষ্ঠানের সামনে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা।
এদিকে গেল সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ দপ্তর। মামলা হয়েছে একাধিক। গতকালও নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে কোকা-কোলার গুদামে হামলার চেষ্টাকালে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার জুতাসহ অন্য মালপত্র লুটপাটের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নিন্দা জানান। গতকাল বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর কথা বলেছেন তারা।