বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

শিবগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচ প্রতিবন্ধী , ভূয়া না সঠিক তা নিয়ে বিতর্কের ঝড়

  • আপডেট এর সময় : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত হয়েছে

আলামিন আলিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচ প্রতিবন্ধীর ভাতা উত্তোলন নিয়ে বির্তকের ঝড় উঠেছে। তারা সকলেই আসল প্রতিবন্ধী না ভ্থয়া তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের জল্পনা- কল্পনা। তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য তার পরিবারে কেউ প্রতিবন্ধী নেই। ঘটনাটি শিবগঞ্জ উপজেলার সাত নম্বর শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মাকসুদা বেগমের পরিবারের। সরজমিনে এলাকাবাসীর সাথ েকথা বলে জানান গেছে কৌশলে মহিলা ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগম তার, আব্দুল করিম, দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার,তাসলিমা আক্তার ছেলে মাসুম বিল্লাহর নামে প্রতিবন্ধী ভাতা দীর্ঘ সাত বছর যাবত ভোগ করে আসছে। তারা কেউ প্রতিবন্ধী নয়। সমাজ সেবার প্রতিবন্ধী তালিকায় তাদের নামের প্রমান পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মাকসুদা বেগমের সাথে মুঠো ফোনে যোগগাযোগ করা করে তিনি বলেন কেন ফোন করেছেন? আমি কিছু জানিনা। আমি হাসপাতালে আছি বলে ফোন কেটে দেন। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে শুধু মাকসুদা বেগমের দুটি আঙ্গুল আঙ্গুল জোড়া লাগানো।তাছাড়া তার পরিবারের কেউ সাদৃশ্যমান প্রতিবন্ধী নেই। তাদের ডাক্তারের সার্টিফিকেটে কি আছে তা জানিনা। তাবে ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী তালিকায় তাদের পঁাচ জনের নাম আছে। এটি মূলত সমাজ সেবা অফিসের দায়িত্ব। তবে বিষয়টি নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিষার মো. আজাহার আলির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করবো। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. কামাল উদ্দিন বলেন,এটি অনেক আগের ঘটনা। এতদিন পর তা নিয়ে তোড়জোড়টা অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে যদি কেউ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এবং তিনি পুন:রায় ডাক্তারী পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুন:রায় ডাক্তারী পরিক্ষা করে প্রমান সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন ডাক্তারী পরিক্ষাগুলি কিছু কিছু অদৃশ্য থাকে যা সরাসরি দেখে বুঝা যায় না। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নুরুল ইসলাম জানান এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পর্যােিয়ে সমাজ সেবার কমর্ীকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত রিপোর্ট দিলে সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোাচনা সাপেক্ষে আবারো ডাক্তারী পরিক্ষা করে সিন্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন প্রথমত প্রতিবন্ধী মেডিকেল সনদ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিবন্ধী যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তালিকা আমাদের কাছে জমা দেয়া হয়। আমরা শুধু এটা বাস্তাবায়ন করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী বলেন. ঘটনাটি দু:খজনক। তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ