ইসলামে নারী ও পুরুষের পরস্পরের বৈধ সম্পর্কের একমাত্র মাধ্যম বিয়ে। এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয়। এটি মহান আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত ও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। মহান আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাপ্ত বয়স্ক যুবকদের বিয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস: ১৪০০)
ইসলামি শরিয়তে বিয়ের পদ্ধতি হলো, দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এক পক্ষ ইজাব করেন (প্রস্তাব দেন), আরেক পক্ষ গ্রহণ করেন (কবুল করেন)- এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ইজাব-কবুলের মাধ্যমে বিয়ে হওয়ার শর্ত-
এক. পাত্র-পাত্রীকে প্রাপ্ত বয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান হতে হবে।
দুই. পাত্রপাত্রী নিজ সম্মতিতে ‘ইজাব-কবুল’ বলবে এবং উভয়ে পরস্পর নিজ নিজ কানে শুনতে হবে। অভিভাবক কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে বিয়ে অনুষ্ঠিত হলে অভিভাবকরা ছেলের প্রস্তাব মেয়েকে বলবে, মেয়ের ‘কবুল’ বলার শব্দ প্রতিনিধিদের নিজ কানে শুনতে হবে।
তিন. বিয়ের ‘ইজাব-কবুল’ শোনার জন্য দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানবান সাক্ষী কিংবা একজন পুরুষ ও দুজন জ্ঞানবান, প্রাপ্তবয়স্ক নারী বিয়ের মজলিসে নিজ কানে শুনতে হবে।
এখন জানার বিষয় হচ্ছে, বোবা ব্যক্তি বিয়েতে কবুল বলবেন কীভাবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যারা বাকশক্তি সম্পন্ন তারা স্বাভাবিক নিয়মেই সবার সামনে উচ্চারণ করে কবুল বলেন। তবে যারা বোবা কথা বলতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো- বোবা ব্যক্তি যেহেতু কথা বলতে পারে না তাই সে লিখতে পারলে লেখার মাধ্যমে কবুল বলবে। কিংবা ইশারায় বিষয়টি বুঝিয়ে দিবে। এভাবে বোবা ব্যক্তির বিয়ে সংঘটিত হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৭০, ফাতহুল কাদির: ৩/৩৪৮;)