মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু
স্টাফ রিপোর্টার
শরণখোলা উপজেলায় আগুনে পুড়ে পাশাপাশি থাকা সনাতন ধর্মের দুই পরিবারের দুই ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। শরণখোলা উপজেলার ১ নং ধানসাগর ইউনিয়নের ৫ নং আমড়াগাছিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিরঞ্জন কুমার হাওলাদার ও সুরজিৎ হাওলাদারের ঘরে খুব ভোরে আনুমানিক ৫.২০ মিনিটের সময় আগুন লাগে। নিরঞ্জন কুমার হাওলাদার জানান খুব ভোরে ঘুমের মধ্যে দেখি ভয়ংকর রকমের আগুনের অগ্নি শিখা। কি করব বুঝতে না বুঝতেই আমার স্ত্রী কাকুতি রানী আমার ছেলে তাপস কুমার হালদার ও আমার ছেলে বউকে নিয়ে প্রান বাচাতে বাহিরে লাফ দিয়ে পড়ি। নিরঞ্জন কুমার হাওলাদার আরো বলেন তার ঘরে থাকা নগদ ২৮০০০০ টাকা ৩.৫ ভরি স্বর্ণের গহনা ও ঘরে থাকা সব মালামাল সহ সর্বমোট ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিরঞ্জন কুমার হাওলাদারের একমাত্র ছেলে তাপস কুমার হাওলাদার ঘরে থাকা নগদ ২৮০০০০ টাকা উদ্ধার করতে গেলে তার শরীরের অনেকখানি অংশ পুড়ে যায়। নিরঞ্জন কুমার হাওলাদারের পাশের ঘর সুরজিৎ হাওলাদারের ঘর সহ ঘরে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। সুরজিৎ হাওলাদার একাই ঘরে ছিলেন। সুরজিৎ হাওলাদার বলেন খুব ভোরে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। আমি প্রাণ বাঁচাতে ঘর থেকে বাহিরে লাফিয়ে পড়ি। আমার ঘরে আমি ছাড়া কেউ ছিলনা। সুরজিৎ হাওলাদারের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তিনি বলতে পারেননি। আগুন লাগার খবর শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে জানানো হলে ফায়ার ফাইটাররা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার মধ্যে তাদের বসবাসের ঘরসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই। শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার এ.কে. এম মেশফাকুল আলমের কাছে আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।