চলছে গ্রীষ্মের তীব্র গরম। এর মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে মিলছে দুর্গন্ধ ও পোকা। যা পানিবাহিত রোগের প্রকোপের শঙ্কা বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে অনেকেই ডিপ টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে ওই গন্ধযুক্ত পানিই ব্যবহার করছেন। তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানিতে পোকা ও দুর্গন্ধের অভিযোগ মানতে নারাজ। ওয়াসা সংশ্লিষ্টরা সেজন্য বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকের সমস্যা হিসেবে দেখছে। ওয়াসা এবং ভুক্তভোগীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গ্রীষ্মের তীব্র গরমের মধ্যে নগরবাসীর পক্ষে পানি ছাড়া চলা অসম্ভব। কিন্তু বর্তমানে বাধ্য হয়ে নগরবাসীকে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেকে ওই পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি ফুটিয়ে খেলেও গন্ধ যাচ্ছে না। পানির কারণে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আগে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
সূত্র জানায়, রাজধানীর কল্যাণপুর, তেজগাঁও, মালিবাগ, মগবাজার, মধুবাগ, বাসাবো, মানিকনগরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ওয়াসার পানির সঙ্গে পোকা পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও কয়েক মাস ধরে ওই সমস্যা চলছে। পোকা ও দুর্গন্ধের কারণে অনেকেই বাড়ির ট্যাংকও পরিষ্কার করিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বরং আগের মতোই পানি আসছে। এ নিয়ে ওয়াসায় অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। বরং রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার পানিতে পোকা আসার বিষয়টি ঢাকা ওয়াসার সমস্যা বলতে রাজি নন কর্তৃপক্ষ। তারা এটিকে বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকের সমস্যা বলে অভিহিত করছে।
এদিকে এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন জানান, এমন অভিযোগ ওয়াসা আগেও পেয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংক বহুদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। যার কারণে পানিতে পোকা ও দুর্গন্ধ দেখা দেয়। ওয়াসার পানিতে কোনো সমস্যা নেই। পোকা হওয়ার কোনো সুযোগও নেই। তাছাড়া পানিতে ক্লোরিন দেয়ার কারণে কিছুটা গন্ধ থাকতে পারে। তা ক্ষতিকর কিছু নয়। কিছুদিন এমন পোকা ও দুর্গন্ধের অভিযোগ এলেও এখন সেটি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ সবাই তাদের রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করায় সেটি দূর হয়েছে। তাছাড়া আগে গরমে কিছু এলাকায় পানির সংকট দেখা দিলেও এখন আর ওই সংকট নেই। কারণ ওয়াসা ডিএমএ স্থাপন করার পরে ওই সমস্যা দূর হয়েছে।