গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলা যেন থামছেই না। প্রতিনিয়ত এসব হামলায় ঝরছে ফিলিস্তিনিদের তাজা প্রাণ। আর এই মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়েই বাড়ছেই। সম্প্রতি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪ হাজারেরও বেশি হয়ে গেলো।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সাংবাদিক ওসামা আল-আরবিদের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ভোর থেকে এ পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি সহায়তাকেন্দ্রে ছুটে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এর আগে গাজায় মার্কিন ও ইসরায়েল সমর্থিত একটি বিতর্কিত গোষ্ঠীর নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ভিড় জমাতে দেখা যায়। ওই কেন্দ্রটি কাজ শুরু করার একদিনের মাথায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রাফাহ শহরের গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ কম্পাউন্ডে লোকজন কাঁটাতারের বেড়া ও মাটির বাঁধ ডিঙিয়ে ভেতরে ঢ়ুকে পড়ছে।
জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে জিএইচএফ নামের এই ত্রাণ বিতরণ সংস্থাটি সশস্ত্র মার্কিন নিরাপত্তাকর্মী (ঠিকাদার) ব্যবহার করে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের চেষ্টা করছে।
গাজায় ওই ত্রাণ বিতরণের ভিডিওগুলোকে হৃদয় বিদারক বলে মন্তব্য করে জাতিসংঘ বলছে, তারা এরই মধ্যে ২১ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের একটি পরিকল্পনাও তৈরি করে রেখেছে। জাতিসংঘ এবং প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন মানবিক নীতি মেনে না চললে আরও মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৬ জন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯ জন।