কুমিল্লার বরুড়ায় থানায় দীর্ঘ দিনের শত্রুতা কে কেন্দ্র করে মুন্নী আক্তার নামের এক নারীর উপর হামলা চালিয়ে বাসা বাড়ি ভেঙ্গে নগদ টাকা সহ মালামাল লুটপাট করেন সন্ত্রাসীরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় যে, ০৫ই জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বাঁশপুর গ্রামে সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বাবলা সহ দলবল নিয়ে এসে পরিবারের বড় সন্তান কাজী মাজহারুল ইসলাম কে খোঁজ করেন,কাজী মাজহারুল কে না পেয়ে পরিবারের সবাইকে আটক করে জিজ্ঞেস করেন সন্ত্রাসীরা, সন্ত্রাসীদের ধারনা কাজী মাজহারুল ইসলাম পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে এসেছে ।ছেলে কাজী মাজহারুল ইসলাম কোথায় জিজ্ঞেস করলে মাতা মুন্নী আক্তার জানান আমার ছেলে কানাডায় অবস্থান করছে। কাজী মাজহারুল ইসলামের মায়ের এমন সাহসী উওরে সন্ত্রাসীরা উত্তেজিত হয়ে মাতা মুন্নী আখতার এর উপর হামলা করেন এবং বাসা বাড়ি ও ঘরের আসবাব পত্র ভাঙা শুরু করেন ।
স্থানীয় লোকজন জানান, যে রফিকুল ইসলাম বাবলা একজন সন্ত্রাসী । সে দির্ঘদিন যাবত আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল আওয়ামীলীগের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, পরিচালনা করতো ।আওয়ামীলীগের দলের হয়ে কাজ করতো।কাজী মাজহারুল ইসলাম তার অপকর্ম পত্রিকায় প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন যাবত কাজী মাজহারুল ইসলামের পরিবারের সাথে রফিকুল ইসলাম বাবলার বিরোধ চলছে ।যার ফলে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কাজী মাজহারুল ইসলামের পরিবারের ওপর হামলা করে তাদের ঘর ও আসবাব সামগ্রী ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেন।
৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগের সরকার পতন হওয়ার পর পর রফিকুল ইসলাম বাবলা তার রুপ পাল্টিয়ে ফেলে রাতারাতি বিএনপি ও জামায়াতের ছত্রছায়া চলে যায়, বিএনপি ও জামায়ত নেতাদের সহযোগীতায় তাদের নেতা কর্মী বনে যায়।
বর্তমানে বিএনপি ও জামায়ত দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় আগের মত অবৈধ কাজ-কর্ম গুলো চালিয়ে আসছে ।যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সে ওই দলের সাথে মিশে তার অপকর্ম গুলো পরিচালনা করে ।এতে করে সে পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজন কে হাত করে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে । এই সিন্ডিকেটর মাধ্যমে সে তার অপকর্ম পরিচালনা এবং ক্ষমতা প্রদর্শন করে আসছে ।
সন্ত্রাসী দের হামলার বিষয়ে বরুড়ায় থানায় দায়ীত্ব রত পুলিশ কর্মকর্তা কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান ঘটনার বিষয় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।