মোঃ আল ইমরান:স্টাফ রিপোর্ট
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শাকের কমিউনিটি সেন্টারে পশ্চিম যাত্রাবাড়ী পঞ্চায়েতের পূর্ণগঠন ও দোয়া মফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাগন কে নিয়ে শুরু হয় উক্ত আলোচনা সভা। মাওলানা মরহুম শামসুল হক (রঃ) জামিয়া মসজিদ এবং লাল মসজিদ নামে এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী পুরনো মসজিদ বিগত ফ্যাসিস সরকার আলমলে পশ্চিম যাত্রাবাড়ী পঞ্চায়েত এলাকায় হয়নি কোন উন্নয়ন। পঞ্চায়েতের মসজিদ, বাজার, মসজিদের টাওয়ার ও পার্কিং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের সঠিক কোন হিসাব না দিয়ে তাদের মন মত ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন। বর্তমানে ৫ আগস্টের পর এলাকার একটি সন্ত্রাসী দল পুনরায় মসজিদ বাজার পঞ্চায়েত কমিটি পুনরায় দখল করে লুটপাট করছে বলে জানান এলাকাবাসী। এই বিষয় নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য বলেন বর্তমানে মসজিদের প্রতিষ্ঠানসমূহ সর্বমোট মাসিক আয় অনুমানে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। বিগত সরকারের আলমে উক্ত উশৃংখল বিতর্কিত ব্যক্তিবর্গ জোরপূর্ব অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের নামে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে আসছে এবং এত বড় দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার অনেকেই অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে ও মিথ্যে মামলায় জড়ানোর ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে এবং মারধর হুমকিও প্রদান করে আসছে। এ সময় তারা এই চক্রের নাম প্রকাশ করে বলেন মোহাম্মদ বাবুল মিয়া মোঃ খোকন, মোঃ দীপু, মোহাম্মদ ফাইজ উদ্দিন মোহাম্মদ সোহেল, মোঃ আলী মোহাম্মদ ওয়াসিম আরো অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ দীর্ঘদিন যাবত মসজিদটির ভিতরে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অসামাজিক ও উশৃংখল ব্যক্তিদের অন্যায়ের কার্যকলাপে মসজিদের মতো পবিত্র ও ধর্মীয় স্থানে অপবিত্রতা ও ভাব গম্ভীর্য নষ্ট হচ্ছে। উক্ত কুচক্রী ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিত ভাবে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে মসজিদের মতো পবিত্র প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটেপুটে খাচ্ছে তাদের অন্তরে বিন্দুমাত্র আল্লাহ রাসূলের ভয় নেই তারা মসজিদের অর্থ আত্মসাত করে যাচ্ছে ও কবরস্থানে জাগায় কেনার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করতেছে যাহার হিসেব চাইলে সচেতন এলাকাবাসীকে হুমকি এবং মারধর করবে বলে জানান । এমত অবস্থায় মসজিদের বিগত ৫৪ বছরের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য জোরালো প্রতিবাদ করার জন্য এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের একত্রিত করেন।পশ্চিম যাত্রাবাড়ী পঞ্চায়েত এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে একটি ৫ বিশিষ্ট এডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১। আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম দুলাল ২। মোঃ সামসুল হক সরদার ৩। হাজী মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন সরকার ৪।হাজী আবু তাহের আবু ৫। হাজী হাজী তরিকুল ইসলাম শাহীন। এছাড়া যে সকল ব্যক্তিবর্গ গণ বক্তব্য দেন- জাফর আলম বাবু, আব্দুল লতিফ মিয়া, কালু মিয়া, সাংবাদিক ওমর ফারুক সালে, মোহাম্মদ ইসহাক, মোঃ শফিক, হাজী সাঈদ সহ পঞ্চায়েত সদস্যগনদের মতামতের ভিত্তিতে আইনের আওতায় এনে এদের হিসাব কিতাব নেয়া হোক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।