রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাজারে নতুন স্মার্টওয়াচ আনলো গুগল অপবিত্র জায়গায় ফলানো সবজি খাওয়া কি জায়েজ? কমছে পান ও কলা চাষ, বেড়েছে ফলের চাষ ঝিনাইদতে গণতন্ত্রের সংকটে নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে ফ্যাসিস্ট শক্তি: মির্জা ফখরুল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ঋতাভরী? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বক্তব্যকালে মঞ্চেই পড়ে গেলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান টি-টোয়েন্টির সাফল্য ধরে রাখার লক্ষ্যে কাল পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ শরণখোলায় হরিণ শিকারের দায়ে এক শিকারীকে ১বছর ২ মাস কারাদণ্ড গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনায় গাইবান্ধায় বিএনপির দোয়া ও মৌন মিছিল
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

অপবিত্র জায়গায় ফলানো সবজি খাওয়া কি জায়েজ?

  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত হয়েছে

ধর্ম ডেস্কঃ

জন্মালেও তা হালালই থাকে। তাই ময়লা বা মলমূত্র জমা হয় বা ফেলা হয় এমন পানি বা মাটিতে যদি শাক-সবজি জন্মায়, তাহলে ওই শাক-সবজি হালাল এবং খাওয়া জায়েজ হবে। একইভাবে কোনো ফসলের ক্ষেতে যদি অপবিত্র পানির মাধ্যমে সেচ দেওয়া হয় বা অপবিত্র কিছু সার হিসেবে দেওয়া হয়, তাহলে ওই ক্ষেতে উৎপন্ন শাক-সবজি খাওয়াও জায়েজ হবে। ইসলামে কোনো খাদ্য হারাম হয় তখনই, যখন তা নিজেই নাপাক বা হারাম বস্তু হয় বা তাতে হারাম কিছু মিশ্রিত হয়। কোনো সবজি যদি অপবিত্র পানি বা মাটিতে জন্মায়, তবুও সেই সবজিতে নাপাক বা হারাম কিছু মিশ্রিত হয় না। কারণ গাছ তার খাদ্য গ্রহণ করে রসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে। পানি বা মাটি দূষিত হলেও, উদ্ভিদ তা শোষণ করে নিজের স্বাভাবিক গঠনে রূপান্তর করে ফেলে আর এতে নাপাকির প্রভাব থাকে না। তবে যদি বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো সবজি অপবিত্র জায়গায় জন্মানোর কারণে দূষিত ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে তা খাওয়া হারাম হবে। অপবিত্র পানি বা মাটিতে জন্মানো শাক-সবজি খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে যেন তাতে নাপাকি লেগে না থাকে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য খাবার গ্রহণ অপরিহার্য। নিয়মিত যথাযথ পরিমাণ খাবার গ্রহণ ছাড়া সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে অনেক হালাল ও পবিত্র খাবার সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন শুধু পবিত্র ও হালাল খাবার গ্রহণ করতে, অপবিত্র বা হারাম খাবার গ্রহণ না করতে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ كُلُوۡا مِمَّا فِی الۡاَرۡضِ حَلٰلًا طَیِّبًا وَّ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ اِنَّهٗ لَكُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ

হে মানুষ, পৃথিবীতে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু। (সুরা বাকারা: ১৬৮)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, যারা রাসুলকে অনুসরণ করে, তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করেন এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তাদের জন্য হারাম করেন। আল্লাহ বলেন,

اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَهٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَهُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ یَاۡمُرُهُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡهٰهُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡهِمُ الۡخَبٰٓئِثَ

যারা সেই নিরক্ষর রাসূলের অনুসরণ করে চলে যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইনজিলে লিখিত পায়, যে মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেয় ও অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করে, আর সে তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ জায়েজ করে এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তাদের জন্য হারাম করে। (সুরা আরাফ: ১৫৭)

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ