বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ স্পিনার তাইজুল প্রথম বাংলাদেশি নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা টহল ২০২৬ সালের হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন ১২ অক্টোবর শেষ বোয়ালমারীতে সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রায়পুরে পুকুর থেকে অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার যথাসময়ে শুরু হয়েছে ডাকসু ভোট গ্রহণ কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। হরতাল-অবরোধে অচল বাগেরহাটের শরণখোলা ভরতখালী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ওয়ার্ড কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিবাদ করাও ইবাদত

  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৯ বার পঠিত হয়েছে

ধর্ম ডেস্কঃ

করেছেন। বানিয়েছেন সৃষ্টির সেরা। দিয়েছেন সর্বোত্তম অবয়ব। বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। তারা সৎকাজে উৎসাহিত করবে। আর অসৎকাজে বাধা দেবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০)

মুমিন বান্দা মানবকল্যাণে নিবেদিত থাকবে। সবার সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে। কোনো অন্যায় হতে দেখলে সবার আগে সামর্থ্য অনুযায়ী সেটির প্রতিবাদ করবে। আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখলে যেন হাত দিয়ে বদলে দিতে চেষ্টা করে। যদি তা না পারে, তবে কথা দিয়ে; তাও না পারলে অন্তর দিয়ে (ঘৃণা করবে)। এটি ঈমানের দুর্বলতম স্তর। (মুসলিম, হাদিস: ৭৪)

যেখানেই অন্যায় দেখবে, অবশ্যই প্রতিবাদ করবে। মিথ্যা প্রকাশ পেলে, সত্য তুলে ধরবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, আর তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কোরো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন কোরো না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ৪২)

অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করা ইবাদত। এটি বড় সওয়াবের কাজ। আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত, (বিদায় হজে) প্রথম জামারায় পাথর নিক্ষেপের সময় এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল! কোন জিহাদ সর্বোত্তম? রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এড়িয়ে গেলেন। অতঃপর দ্বিতীয় জামারায় গিয়েও তিনি তাঁর উদ্দেশে একই প্রশ্ন করলেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও একইভাবে এড়িয়ে গেলেন। অবশেষে তৃতীয় জামারায় বা জামারা ‘আকাবায় গিয়ে যখন রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর নিক্ষেপ করলেন এবং উটের রেকাবীতে পা রাখলেন, তিনি জানতে চাইলেন, ‘প্রশ্নকারী ওই ব্যক্তি কোথায়?’ ওই ব্যক্তি বললেন, এই আমি এখানে হে আল্লাহর রসুল। তিনি বললেন, সর্বোত্তম জিহাদ ওই ব্যক্তি করে যে অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলে। (আহমদ, হাদিস: ১৮৮৩০; তিরমিজি, হাদিস: ২১৭৪)

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ