ধর্ম ডেস্কঃ
পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যেতে হয় একজন মানুষকে। সবগুলোই আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৫৫)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে অবশ্যই কোনো না কোনো দিক থেকে স্বস্তি রয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, অবশ্যই প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে অন্য দিকে স্বস্তি আছেই।’ (সূরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত : ৫-৬)
আনন্দের মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করা উচিত। রাসুল (সা.) আনন্দের কোনো কিছু দেখলে বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাযি বিনিমাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত’।
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যার নেয়ামতের মাধ্যমে ভালো কাজগুলো সম্পন্ন হয়।
আর যখন কোনো অপছন্দনীয় কিছু দেখতেন তখন বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহমদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল।’
অর্থ : সব প্রশংসা সব অবস্থায় মহান আল্লাহর জন্য।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন কোনো পছন্দনীয় কিছু দেখতেন তিনি (উল্লিখিত প্রথম) দোয়াটি পড়তেন। আর যখন কোনো অপছন্দনীয় কিছু দেখতেন তিনি (উল্লিখিত দ্বিতীয়) দোয়াটি পড়তেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর : ৩৮০৩)