গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ওয়ার্ড কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দফায় দফায় জেলা বিএনপিসহ বিভাগীয় পর্যায়ে অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের একাংশের নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমের হাতে আসা অভিযোগে জানা যায়, ভরতখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করেই আওয়ামী ও বিএনপি বিরোধী লোকজনের নাম কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করেন যা সম্পূর্ন সংগঠনের নিয়মনীতি পরিপন্থী। তালিকায় নাম থাকায় বিএনপির অনেক আগী নেতা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যারা ফ্যসিটের আমলে কঠোরভাবে বিএনপি বিরোধী ছিল, তারাই আজ বিএনপি’র বিভিন্ন মিটিং মিছিলে ও গুরুত্বপূর্ন তালিকায় স্থান ও সম্মান পায় যাহা আমাদের মত ত্যাগী নেতাদের অসম্মান বয়ে আনে।অভিযোগ আর বলা হয়, সুকৌশলে আওয়ামী স্বৈরাচারদের পুনর্বাসনের জন্য গোপনে রাতের আধারে ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয় যেখানে অধিকাংশ বিএনপি’র রাজপথ কাপানো লড়াকু ত্যাগী নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক ও যুগ্ম আহব্বায়ক এবং ইউনিয়ন সদস্য ও অঙ্গ সংগঠনের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ বা মত বিনিময় না করেই এককভাবে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে যা কোনখানেই বৈবতার দাবি রাখে না। উক্ত কমিটিতে সুকৌশলে আওয়ামীলীগের পদপারীদের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারান সম্পাদক বানানো হয় যা তদন্তে প্রমাণিত হবে। সংগঠনের সুশাসন ও ঐতিহ্যবাহী দলের ভাবমূর্তী রক্ষার্থে অবৈধভাবে গঠিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিটি পুন:গঠনের দাবি জানানো হয়। ভরতখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ একাধিক নেতাকর্মী বলেন, কমটিতে আওয়ামী ও বিএনপি বিরোধী লোকজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই বিতর্কীত কমিটি নিয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সম্ভাব্য কাউন্সিলের স্থগিতের দাবি জানান নেতাকর্মীরা।