জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার আলামত ও সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব ও অনলাইন সার্ভারে প্রবেশাধিকার চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার সুষ্ঠু বিচারের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল আলামত ও সাক্ষ্য অনতিবিলম্বে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সংগ্রহ করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার উপযোগী ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের অনুমোদিত সার্ভারে ডিজিটাল আলামত সংরক্ষণ ও সার্ভারের বিশেষায়িত সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ জরুরি।
বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আইনসম্মত উপায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওয়েবসাইট, ডোমেইন, ই-মেইল এবং সার্ভার সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সহযোগিতাগুলো হলো-১. মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সম্পর্কিত সংবেদনশীল ডিজিটাল সাক্ষ্য নিরাপদে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য আইসিটি বিভাগে অন্তর্গত ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির বিভিন্ন অবকাঠামোতে বৈধ প্রবেশাধিকার।
২. আইসিটি বিভাগের অন্তর্গত ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি, দলিলাদি ও সার্ভারে বৈধ প্রবেশাধিকার এবং বিশেষায়িত সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান।
৩. সংবেদনশীল তথ্যের সঠিক চেইন অব কাস্টডি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান।
৪. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক নিরাপদ সার্ভার ও রাষ্ট্রীয় ডোমেইন ই-মেইল সংক্রান্ত সেবা প্রদান।
৫. সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলোতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান।