ধর্ম ডেস্ক: ঈমানদার মুসলমানের প্রধান ইবাদত নামাজ। ঈমানের পরেই যার স্থান। আর কেবলা মুখী হয়ে এ নামাজ আদায় করতে হয়। মুসলমানদের কেবলা হলো সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ। যা পবিত্র কাবা শরিফ নামে পরিচিত। সারা বিশ্বে অবস্থানকারী মুসলমানদের জন্য কেবলা হলো পবিত্র কাবা শরিফ। যারা কাবা শরিফের পশ্চিমে অবস্থানকারী তাদের জন্য কেবলা পূর্ব দিক। যারা কাবা শরিফের পূর্বে অবস্থান করে তাদের জন্য কেবলা পশ্চিম দিক। আবার যারা কাবা শরিফের দক্ষিণে অবস্থান করে তাদের জন্য কেবলা উত্তর দিক। আর যারা কাবা শরিফের উত্তরে অবস্থান করে তাদের কেবলা দক্ষিণ দিক।
সর্বোপরি কথা হলো-
যে যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, বাইতুল্লাহ তথা কাবা শরিফ-ই মুসলিম উম্মাহর কেবলা। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লোকদের জন্য কেবলা হলো পশ্চিম দিক।
দিক নির্ধারণ করতে না পারলে করণীয়
স্থান পরিবর্তনের কারণে হোক আর ভ্রমণের কারণে হোক; যদি কোনো ব্যক্তি দিক বিভ্রম হয়ে কেবলার দিক নির্ধারণ করতে অপারগ হয়, সেক্ষেত্রে নামাজের হুকুম কী? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো- যেহেতু নামাজ ফরজ ইবাদত। আর নামাজের জন্য কেবলামুখী হয়ে নামাজ পড়াও ফরজ।
যদি দিক নির্ধারণ করতে সম্ভব না হয় তবে, গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনা করে কেবলার অনুমান করে নির্ধারিত ওয়োক্তে নামাজ আদায় করে নেয়া। যদি নামাজ আদায়ের পরবর্তী সময়ে জানতে পারে যে, তার কেবলা ভুল ছিল; তাতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না এবং পুনরায় নামাজও আদায় করতে হবে না। বরং নামাজ আদায় হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে কেবলামুখীহয়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুণ। দিক বিভ্রম হয়ে গেলে কেবলার দিক নির্ধারণে সর্বোচ্চ চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা সঠিক দিক নির্ধারণের তাওফিক দান করুণ। আমিন।