কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কতৃপক্ষ। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অর্ধশত ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী চোরাই চক্রকে রক্ষা করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। চোরাই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। প্রচলিত আইনের খরগ স্পর্শ করতে পারেনি ওদের টিকিটিও এমন অভিমত বিজ্ঞমহলের। এ ধারাবাহিকতায় কলাপাড়ার ধানখালীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত থাকা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক পটুয়াখালী (আরএনপিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের স্ক্র্যাপ মালামাল চুরির ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা সোহেল মোল্লা, শাহীন মোল্লা, কালাম তালুকদার কালা, রাসেল গাজী, বাইজিদ গাজী, সুলতান সরদার, সাইদুল ইসলাম, ইব্রাহীম সরদার, কুদ্দুস মিয়া, বশির মৃধা, স্বপন বয়াতী, সাব্বির খা সহ ৫০ জনের নামে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চোরচক্রের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের বাড়ি গিলাতলা, লোন্দা ও ধানখালী গ্রামে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আমিনুল ইসলাম এ মামলাটি করেছেন। ১২ জানুয়ারি মামলাটি(মামলা নং১৭) কলাপাড়া থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। চুরি হওয়া মালামাল হচ্ছে তামার তার, লোহার সামগ্রী, স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি রাতে আসামিরা বিদ্যুৎ প্লান্টের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ তামার তার, লোহার সামগ্রী, স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে গিলাতলা বাজারের কাছে নিয়ে স্টক করে। ১০ জানুয়ারি সকালে ওই মালামাল একটি গাড়িতে পাচারের জন্য তোলা হচ্ছিল। এসময় বিদ্যুৎ প্লান্টের নিরাপত্তাকর্মীরা কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সহায়তায় গাড়িসহ অন্তত আড়াই লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ টন মালামাল উদ্ধার করেন। এচক্রটির চোরাই করা আরও এক ট্রাক মালামাল ইতোপূর্বে আটক করা হয়। পাওয়ার প্লান্টের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, এচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে শত শত টন মালামাল চুরি করে বিক্রি করে আসছিল।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।