বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন : ০১৭১২-৫২২৫৩৭, ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

এবার পাকিস্তান থেকে চাল আমদানির চুক্তি

  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাকিস্তান থেকে জি টু জি ভিত্তিতে আতপ চাল আমদানি করবে সরকার। এ লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি সই হয়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিও বশির শাহ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেক সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করতে এই সমঝোতা স্মারক এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ সময় খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান, পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব শাকিল আহমেদ, হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফসহ উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার অবসানে ৯ মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই নেয় বাংলাদেশ। তারপর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই গড়িয়েছে।

গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনকালে সেই সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল। এটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের পর করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের কনটেইনার জাহাজটি দুবাই থেকে করাচি হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে ১১ নভেম্বর। এতে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। এর মধ্যে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে আনা হয়েছে ২৯৭ একক কনটেইনার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়েছে ৭৩ একক কনটেইনার। পরদিন জাহাজটি পণ্য খালাস করে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে বন্দর ছেড়ে যায়।

শিপিং ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জাহাজটিতে করে পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত সোডিয়াম কার্বোনেট বা সোডা অ্যাশ। এছাড়া খনিজ পদার্থ ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট, কাঁচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাঁচ, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের কাঁচামাল কাপড় ও রং, গাড়ির যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ এবং আলু।

সরাসরি পাকিস্তান থেকে দ্বিতীয়বার জাহাজ আসে গত ২২ ডিসেম্বর। এই জাহাজে সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি। এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন। পাশাপাশি ডলোমাইট, সোডা অ্যাশ, কাপড়ের রোল, আলু এবং আখের গুড়ও আনা হয়েছে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ