অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সাম্প্রতিক সময়ে দলের শৃঙ্খলা ও একতা নিশ্চিত করতে ১০ দফা নতুন নিয়ম চালু করেছে। এসব নিয়মে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করার পর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রোহিত শর্মা, শুবমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, এবং ঋষভ পন্তের পর ১২ বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট কোহলিও।
কোহলির ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা
দিল্লি দলের কোচ সরনদীপ সিং জানিয়েছেন, কোহলি আগামী ৩০ জানুয়ারি রেলওয়ের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মাঠে নামবেন। তবে ঘাড়ের চোট পুরোপুরি সারেনি বলে সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২৩ জানুয়ারির ম্যাচটি তিনি খেলবেন না। ৮ জানুয়ারি ইনজেকশন নেওয়ার পর থেকে বিশ্রামে ছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
কোহলির পাশাপাশি রোহিত, গিল, এবং জয়সওয়ালও রঞ্জি ট্রফির ২৩ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া রাউন্ডে খেলবেন। সৌরাষ্ট্রের হয়ে ঋষভ পন্ত এবং জাদেজাও একই দিন রঞ্জিতে ফিরবেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট বাধ্যতামূলক
নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভারতের ব্যর্থতার পর টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক কমিটি, এবং বিসিসিআই একাধিক বৈঠক করে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করেছে। জাতীয় দলে নির্বাচিত হতে এবং কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক। বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচক প্রধানের অনুমোদন সাপেক্ষে ছুটি নেওয়া যাবে।
শৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১০ দফা নির্দেশনা বোর্ডের নতুন নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত অংশগ্রহণ।
২. দলীয় অনুশীলনে পুরো সময় উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
৩. সিরিজ চলাকালীন ব্যক্তিগত শেফ, ম্যানেজার বা নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা সীমিত রাখা।
৪. সিরিজ চলাকালীন কোনো বিজ্ঞাপনী শুটিং নিষিদ্ধ।
৫. দীর্ঘ সফরে পরিবার সঙ্গে রাখার সময়সীমা নির্ধারণ।
৬. আলাদা যানবাহনে যাতায়াতের জন্য কোচ বা নির্বাচকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
শাস্তির বিধান
নিয়ম ভঙ্গ করলে আইপিএলসহ বিসিসিআই আয়োজিত সব ধরনের টুর্নামেন্টে খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এ ছাড়া বার্ষিক চুক্তি এবং ম্যাচ ফি থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন খেলোয়াড়রা। বিসিসিআই আশা করছে, এই নিয়মগুলো ভারতীয় ক্রিকেটে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে এবং দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াবে এবং তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে।