বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অপহৃত সিলেটের ৬ শ্রমিক টেকনাফ থেকে উদ্ধার শান্ত-জাকেরের দৃঢ়তায় চাপ সামলে লিডে এগিয়ে স্বাগতিকরা বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ব্যয় কমানোর উদ্যোগ গণবিস্ফোরণে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন -ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পাথর বোঝাই ট্রাক উল্টে সাঘাটা গাইবান্ধা রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদপুরের ধর্ষণ মামলার আসামী মুন্না (১৯) র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। মায়ের সাথে অভিমান করে ১২ বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু  চীনের হাসপাতালটি গাইবান্ধায় প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন তৃতীয় দফায় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক সাঘাটা সমাজসেবা কর্মকর্তার অনিনয়ম-দুর্নীতির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন গণস্বাক্ষর স্বারক লিপি প্রদান
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

শরণখোলায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু

  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ বার পঠিত হয়েছে

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু : শরণখোলায় মহিমা আক্তার (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর  মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের মা মিনারা বেগম বলেন তার মেয়েকে শশুর বাড়ির লোকজন কৌশলে মেরে ফেলেছে। অন্যদিকে নিহতের শ্বশুর রুহুল আমিন পোহালেন বলেন, তার পুত্রবধূ ভোররাতে ঘর থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেখান থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে  এ ঘটনা ঘটে।

থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন পহলানের পুত্র ইসরাফিল পহলান এর সাথে ১২/১৩ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার কন্যা মহিমা আক্তারের সাথে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ১০ বছরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মহিমার স্বামী ইসরাফিল ২০১৯ সাল থেকে সৌদিতে অবস্থান করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে   বাড়িতে এসে ছয় মাস পর আবার সৌদি চলে যায়।  গত দুইদিন আগে মহিমা শশুর বাড়ি চলে আসে কারণ তার ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছে সেখানে তার দেখাশোনা করার জন্য। নিহতের শ্বশুর রুহুল আমিন বলেন ১২ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে তার পুত্রবধু মহিমা ঘর থেকে বেড় হয়ে পুকুর ঘাটে ওযু করতে যায় । এর কিছুক্ষণ পর মহিমা শাশুড়ি রুবি বেগম ও ঘর থেকে বেড় হয়ে ল্যাট্রিনে যায়। এসময় রুবি বেগম পুকুর ঘাটে মহিমা বেগমের  চিৎকার শুনে তার স্বামী রুহুল আমিন কে ডাক দেয়। তারা এসে ময়না বেগমকে পুকুর ঘাটের অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে সকাল আটটার দিকে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরতো চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। নিয়াতের মা মিনারা বেগম বলেন বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মহিমাকে নির্যাতন করে আসছি এ মৃত্যুর ঘটনায় তাদের হাত থাকতে পারে। নিহতের  শশুর রুহুল আমিন বলেন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। ভোররাতে পুকুর ঘাটে অজু করতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। অন্যদিকে মহিমার মা  বলেন তিনি শরণখোলা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন।

শরলখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ