ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম জয়কে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত কবিরুল ইসলাম জয় জেলা সদরের ভুল্লী থানার কেশর বাড়ি মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জয় ঢাকায় চোঁখের চিকিৎসা শেষে হানিফ পরিবহনের বাসে করে ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালে নামেন। সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, জয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর জখমের কারণে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
আহত কবিরুল ইসলাম জয় জানান, আমি গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। আজ বাড়ি ফেরার পথে রাত ২টার দিকে একজন আমাকে ফোন করে জানতে চায় আমি কোথায় আছি। পরে আমি জানাই, ঠাকুরগাঁও ফিরছি। আজ সকাল ৫টার দিকে ভুল্লী এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ ধারালো অস্ত্র ছিল। দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে তারা হামলা করে। আমি হামলাকারীদের চিনতে পারিনি। তবে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছিল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা কয়েকজন ছাত্র জানান, জয় জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। তার শরীরে প্রায় ২৭টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। চোখে গুলি লাগায় তিনি ১৯ তারিখ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। শনিবার সকালে বাড়ি ফেরার পথে ভোর ৫টায় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং তার সঙ্গে থাকা সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। আমরা পুলিশের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। কারা, কী উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়েছে, তা আমরা জানতে চাই।
এ বিষয়ে ভুল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।