অনলাইন ডেস্ক: দেশীয় ফলগুলোর মধ্যে পরিচিত একটি হলো আমড়া। এটি অত্যন্ত সুস্বাদুও। বর্ষা মৌসুমে এই ফল বেশি পাওয়া যায় আমাদের দেশে। এই ফলটিকে যেমন কাঁচা খাওয়া যায় তেমনই আবার নানা পদের খাবারও রান্না করা যায়। তবে সহজলভ্য বলে অনেকে আমড়ার গুরুত্ব বোঝেন না। যে কারণে বঞ্চিত হন অনেক পুষ্টি থেকে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ও অন্যান্য উপকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে আমড়ায়। বলা হয়, আমড়া আপেলের চেয়ে কম উপকারী নয়। চলুন জেনে নেই সহজলভ্য আমড়ার গুণাগুণ সম্পর্কে।হজম ভালো রাখে
আমড়ায় থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যে কারণে আমড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে কারণে সুস্থ থাকা সহজ হয়। কারণ হজম ভালো হলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরের সর্বত্রই।
মুখের রুচি বাড়ায়
অনেকেই আছেন যারা খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পেটে ক্ষুধা থাকলেও মুখে রুচি না থাকার কারণে তারা তেমন কিছু খেতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আমড়া। মুখে অরুচি হলে খেতে পারেন এই ফল। মরিচ আর কাসুন্দির সঙ্গে আমড়া মিশিয়ে খেলে মুখে রুচি ফিরে আসে খুব দ্রুত।
সর্দি-কাশি সারায়
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন। এ ছাড়া হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে কিংবা অ্যালার্জির কারণেও এমনটা হতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে আমড়া খেতে পারেন। কারণ আমড়ায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই আমড়া খেলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে দ্রুতই। সেইসঙ্গে এটি শরীরে রক্তস্বল্পতার সমস্যাও দূর করে।
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে উপকারী
যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো জটিল অসুখের ভয় রয়েছে, তারাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আমড়া। সুস্বাদ ও সহজলভ্য এই ফল খুব সহজে আপনাকে এ ধরনের অসুখ থেকে দূরে রাখবে। তবে আমড়া খালি পেটে কিংবা রাতের বেলা না খাওয়াই উত্তম।
হাড় ও দাঁত ভালো রাখে
আমাদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে আমড়া। কারণ এতে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যারা হাড় ও দাঁত নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে এই ফল। বর্তমানে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন, তাদের পাতে আমড়া থাকলে সুস্থ হবেন দ্রুতই।
হবু মায়ের জন্য উপকারী
গর্ভধারণের সময়ে অনেক হবু মায়েদের টক স্বাদের খাবার খেতে ইচ্ছে করে। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন আমড়া। কারণ আমড়ায় থাকা পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান হবু মা ও অনাগত শিশুর জন্য উপকারী। তবে চিকিৎসকের কোনো ধরনের নিষেধ থাকলে এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।