শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

রিয়ালকে পাল্টা হুমকি দিলেন আর্তেতা

  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬ বার পঠিত হয়েছে

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ-আর্সেনাল। প্রথম লেগটা ৩-০ ব্যবধানে জিতে বেশ এগিয়ে আছে লন্ডনের ক্লাবটি। তাই গানার্স কোচ মিকেল আর্তেতা তাঁর দলকে আহবান জানিয়েছেন, তারা যেন রিয়ালের আরেকটি ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা ভুলে গিয়ে ‘মাঠে কথা বলে’। রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আর্সেনাল যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠার মিশন নিয়ে। লন্ডনের ক্লাবটি শেষবার ২০০৯ সালে এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে খেলেছিল। তবে আর্তেতার দলের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৫ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়াল। যারা অতীতে অনেকবার অসম্ভব বলে মনে হওয়া ম্যাচে ফিরে আসার ইতিহাস রয়েছে। তবে তারা ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় একমাত্র একবারই তিন গোলের ঘাটতি থেকে ফিরেছে। সেটা ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে, যখনও টুর্নামেন্টটির নাম ইউরোপিয়ান কাপ ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম মঙ্গলবার বলেছেন, “এই রাতটি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য তৈরি।” এই ইংলিশ মিডফিল্ডার স্বীকার করেন যে গত সপ্তাহ থেকে তিনি স্প্যানিশ শব্দ ‘রেমন্তাদা’ (প্রত্যাবর্তন) শব্দটি প্রায় এক মিলিয়ন বার শুনেছেন। বেলিংহ্যামের এই কথার প্রেক্ষিতে ম্যাচে পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আর্তেতা বলেন, “আমরা ঠিক তার উল্টো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। খেলোয়াড়দের মাথায় গত ৭২ ঘণ্টায় যেটা আমরা ঢ়ুকিয়েছি, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আবারও বলছি, মাঠে নেমে সেটা অনুভব করতে হবে, সেটা পেরোতে হবে। এটাই আমাদের কাল করতে হবে। আমি বুঝতে পারি এই ‘ন্যারেটিভ’ (বেলিংহ্যামের বলা প্রত্যাবর্তন) তাদের (মাদ্রিদের) জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।” আর্সেনাল প্রায় দুই বছর ধরে কোনো ম্যাচ তিন গোলের ব্যবধানে হারেনি এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত মাত্র চারবার এমন ঘাটতি থেকে ফিরে আসা সম্ভব হয়েছে। আর্তেতা বলেন, “এখন আমাদের এই প্রেক্ষাপটে তা প্রমাণ করতে হবে এবং এটাই আসল সৌন্দর্য। এটাই চ্যালেঞ্জ এবং এটাই খেলাধুলার সবচেয়ে চমৎকার দিক। আমরা দেখিয়েছি আমরা তা করতে পারি, সেটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস ও নিশ্চয়তা দেবে। আর এখন, মাঠেই কথা বলতে হবে। মাঠের খেলাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ।” “খেলার তিনটি মূল দিক আছে- শারীরিক, প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত এবং আবেগ। এই আবেগের দিকটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সারা মৌসুম ধরে দল (আর্সেনাল) যেভাবে ইতিবাচক ও কঠিন পরিস্থিতিতে খেলেছে, সেটাতেই আমার আত্মবিশ্বাস আছে। তাই, আমাদের এই সেমিফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যেকোনো পরিস্থিতি আমরা সামাল দিতে পারি। খেলায় যে ধরণের চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, আমরা সেটা উপভোগ করতে চাই।”

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ